হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রাজিল দলের তারকা খেলোয়াড় নেইমারের বন্ধু মো. রবিন এখন ভৈরবে অবস্থান করছেন। মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) হঠাৎ কাতার থেকে নিজ গ্রামে আসেন রবিন। আবার শনিবার (১৯ নভেম্বর) চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ছিল মো. রবিনের ছেলের জন্মদিন। ওইদিন নেইমার এক ভিডিও বার্তায় তার বন্ধু রবিনের ছেলের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সেইসঙ্গে ছেলের জন্য সুস্বাস্থ্য ও শুভ কামনা করেন এই তারকা ফুটবলার। এরপর থেকেই আলোচনায় আসেন রবিন।
নেইমার জুনিয়রের বন্ধু ও তার প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মো. রবিন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের গাজিরটেক এলাকার মোল্লাবাড়ির হাজি আব্দুস সাত্তারের (শিশু মিয়া) ছোট ছেলে। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ১৫ বছর আগে পাড়ি দেন ব্রাজিলে। সেখানে তিনি কৃষি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন। পরিবারে চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রবিন।
শুক্রবার বিকেলে রবিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা, পাড়া-প্রতিবেশীসহ গ্রামবাসী তার এই সুনাম অর্জনের জন্য বেশ আনন্দিত। তারা রবিনকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন।
মো. রবিন বলেন, ‘ব্রাজিলের তারকা খেলোয়াড় নেইমার আমার একজন ভালো বন্ধু। তিনি বিশ্বের একজন তারকা হলেও তার মধ্য কোন -অহংকার নেই।
তিনি বলেন, ‘নেইমারের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ব্রাজিলিয়ান এক কাছের বন্ধু জোয়ান সেলসোর মাধ্যমে। তিনিও নেইমারেরও কাছের বন্ধু। তার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকায় তার পরিবারের সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাই নেইমারের পরিবারের ভেতরের খবরও সব জানা রয়েছে আমার।’
নেইমারের সঙ্গে কাজের বিষয়ে মো. রবিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশে নেইমারের প্রচারের কাজটা করি আমি আর জোয়ান। আন্তর্জাতিকভাবে তার যে ফেসভ্যালু আছে, সেটা আমরা বহুজাতিক কোম্পানির কাছে নিয়ে যাই, তারাও আমাদের কাছে আসেন। আমরা এ কাজগুলো করি। আমাদের দেশে যে নেইমারের অনেক ভক্ত-সমর্থক রয়েছে সেটাও তিনি ভালোভাবেই জানেন।’
রবিনের বাবা হাজি আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, ‘রবিন আমার ছোট ছেলে। সে খুব নম্র ও ভদ্র। দেশে পড়াশোনা শেষ করে চলে যায় ব্রাজিলে। সেখানে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে এগ্রিকালচারের ওপর ব্যবসা করছে। ব্যবসার সুবাদে নেইমারের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে আমার ছেলে নেইমারের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে তার প্রচারণায় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এটি আসলে আমার পরিবারের জন্য খুবই গর্বের বিষয়।’
রবিনের বড় ভাই মো. মামুন বলেন, ‘নেইমার কত বড় একজন খেলোয়াড়! তার সঙ্গে আমার ভাইয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সে এ যোগ্যতা অর্জন করায় আমরা খুব খুশি। রবিন শুধু ভৈরববাসীর নয়, সে সারা বাংলাদেশের গর্ব।’
রবিনদের বাড়ির মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুর গফুর লোকমান বলেন, ‘আমার জানামতে রবিন ভাই খুব অমায়িক ও মিশুক মানুষ। উনার এই সুনাম অর্জনে তার পরিবারের পাশাপাশি সারা দেশ তাকে নিয়ে গর্ব করছে।’