কি‌শোরগ‌ঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যা প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কি‌শোরগ‌ঞ্জের নিকলী‌তে স্বামীর সহযোগিতায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসা‌মি‌দের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তি দা‌বি‌তে মানববন্ধন ক‌রে‌ছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপু‌রে নিকলী উপ‌জেলার জারইতলা শাহপুর গ্রা‌মে এ মানববন্ধ‌ন করা হয়। এ সময় নিহ‌তের মামাসহ প‌রিবা‌রের লোকেরা উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

মানববন্ধ‌ন অভিযোগ করা হয়, অসা‌মা‌জিক কার্যকলা‌পে রাজি না হওয়ায় স্বামী লাল চাঁন মিয়ার সহ‌যো‌গিতায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় স্বামীসহ চারজন‌কে পু‌লিশ আটক কর‌লেও প্রধান আসা‌মিসহ তিনজন এখনও পলাতক র‌য়ে‌ছে। তারা মামলা তু‌লে নি‌তে বাদী‌কে নানাভাবে হুম‌কি দি‌চ্ছে। অবিলম্বে তা‌দের গ্রেফতা‌রের দা‌বি জানায় স্বজন ও এলাকাবাসী।

নিহতের মামা ও মালার বাদী মো. জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, ঘটনার পর মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও প্রধান আসামি রনিসহ বাকি তিনজনকে ধরছে না পুলিশ। তারা প্রকাশ্যে ঘুরছে। মামলা তুলে না নিলে আমাকেও হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২৭ জুন সন্ধ‌্যার পর নিকলী উপ‌জেলার দ‌ক্ষিণ জাল্লাবাদ থে‌কে পাশের সাহাপুর গ্রা‌মে স্বামীর বা‌ড়ি‌তে যাওয়ার প‌থে ওই গৃহবধূকে তু‌লে নি‌য়ে রাতভর ধর্ষণ ক‌রে একই এলাকার র‌নিসহ ক‌য়েকজন। পর‌দিন সকা‌লে সাহাপুরের অদূরে আশংকাজনক অবস্থায় এক‌টি জ‌মি থে‌কে তা‌কে উদ্ধার ক‌রে হাসপাতা‌লে নিয়ে যায় স্বজনরা। ২৯ জুন কি‌শোরগঞ্জ ২৫০ শয‌্যা জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত‌্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহ‌তের মামা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হ‌য়ে নিহতর স্বামীসহ ৭ জন‌কে আসা‌মি ক‌রে ২৯ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিকলী থানায় এক‌টি মামলা দা‌য়ের ক‌রেন। মামলার হলেন- সাহাপুর গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে রনি (৪০), মৃত রহমানের ছেলে রমছু মিয়া ওরফে রমচাঁন মিয়া (৪২), দক্ষিণ জাল্লাবাদ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সুকন মিয়া (৩৩), মৃত মোমালীর ছেলে নাছির মিয়া (৩২), ভুনা নয়াহাটি গ্রামের মৃত ইবু মিয়ার ছেলে শরিফ (২৭), রাজু মিয়ার ছেলে লাল চাঁন মিয়া (৩১) ও সাহাপুর গ্রামের একদিল মিয়া (২৭)। পু‌লিশ একই দিন নিহতের স্বামী লাল চাঁন মিয়া, রমছু, শরীফ ও নাছির মিয়াকে গ্রেফতার ক‌রে।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ জানান, মামলার প্রধান আসা‌মিসহ বাকি তিনজন‌কে গ্রেফতা‌রের চেষ্টা চল‌ছে।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর