হাওর বার্তা ডেস্কঃ কাতার বিশ্বকাপ এবার অনেক কারণেই অনন্য। যার মধ্যে একটি হচ্ছে প্রথমবারের মতো নারী রেফারি দেখা যাবে ছেলেদের বিশ্বকাপে। তাদের নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছিলেন ফিফার হেড অফ রেফারিজ পিয়ার লুইজ কলিনা। দোহার কাতার স্পোর্টস ক্লাবে প্রায় ৩৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শেষবারের মতো নিজেদের পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যাথরিন ন্যাশবিথ ও রুয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গারা।
প্রথমবার ফুটবল মহাযজ্ঞে রেফারিং করবেন দেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেফারি ক্যাথরিন নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারছিলেন না। যখন তার নাম বিশ্বকাপের জন্য ঘোষণা করা হলো, ঠিক সেই মুহূর্তের অনুভূতি নিয়ে ক্যাথরিন বলেছেন, ‘অসাধারণ অনুভূতি। যেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। প্রায় ২০ মিনিটের মতো মনে হচ্ছিল আমি বোধহয় পৃথিবীর বাইরে কোথাও।’
এই পর্যন্ত যে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই সবাইকে আসতে হয়েছে, সেটা উঠে এলো রুয়ান্ডার সালিমার কথায়, ‘আমরা এখানে এসেছি যোগ্যতা ও সামর্থ্য দিয়ে। নিজেদের প্রমাণ করেই এই স্তরে এসেছি। আমরা এটা ডিজার্ভ করি। কোনও সুযোগ বা অন্য মাধ্যমে আসিনি। তাই আমরা গর্বিত। বিশ্বকাপের মঞ্চে থাকা যেকোনও রেফারির জন্যই স্বপ্ন।’
এই গরম আবহাওয়া রেফারিদের জন্য অনেক কষ্টকর কিনা? জবাবে সালিমা বললেন, ‘আসলে সে রকম কষ্টের কিছু নেই। আমরা এখানে এসে অনেক দিন থেকে অনুশীলন করেছি। এই আবহাওয়ার সঙ্গে অভ্যস্তও হয়ে পড়ছি। আমরা এখন টুর্নামেন্টের জন্য সর্বোচ্চভাবে প্রস্তুত।’
এবার কাতারে দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র তিন জন নারী রেফারি। তবে সংখ্যাটা সামনে আরও বাড়বে বলে বিশ্বাস ক্যাথরিনের, ‘হ্যাঁ। এবার নারীরা যাত্রা শুরু করলো। সামনের বিশ্বকাপে আশা করছি সংখ্যাটা বাড়বে। একপর্যায়ে আর সংখ্যায় বেশি ব্যবধান থাকবে না।’