সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম এই সেতুটি।
আগামীকাল সোমবার ‘শত সেতুর শুভ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে রানীগঞ্জ সেতুসহ জেলার ১৭টি সেতু গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুগুলো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৯০ কোটি টাকা।
জানা যায়, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয়েছে রানীগঞ্জ সেতুর নির্মাণ কাজ।
স্থানীয় সৃএে জানায়, কুশিয়ারা নদীর ওপর এই সেতুটি নির্মাণের ফলে হাওরভাটির জেলা সুনামগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।
ঢাকার সাথে সুনামগঞ্জে দূরত্ব কমবে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। সেই সাথে জগন্নাথপুর উপজেলার একটি বিরাট অঞ্চল আসবে যোগাযোগের আওতায়। ফলে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এই সেতু।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, ১৯৯৬ সালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত আবদুস সামাদ আজাদের প্রচেষ্টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডাবর মোড় থেকে জগন্নাথপুর হয়ে হবিগঞ্জের আউশকান্দি পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মিত হয়।
তিনি আরো বলেন, এই সড়কে দূরত্ব কিভাবে আরো কমানো যায় সেই চিন্তা আমরা করছি, যাতে সরাসরি হবিগঞ্জে চলে যাওয়া যায়। আরও একঘণ্টা সময় যাতে বাঁচানো যায়।
মন্ত্রী বলে, মারামারি, ঝগড়াঝাটি আমরা করতে চাই না, আমরা চাই বাংলাদেশের উন্নয়ন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করে দিয়ে এই অঞ্চলের অগ্রগতি ও উন্নয়নের আরো একটি দুয়ার খুলে দেবেন।