হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় শতাধিক গাছ ভেঙে পড়ার তথ্য জানা গেছে।
এর মধ্যে অঞ্চল-১-এর ধানমণ্ডি-৩ ও ১০, আইইবি, মৎস্য ভবন, টিএসসি, সার্কিট হাউস রোড এলাকায় ১০টি, অঞ্চল-২-এর শান্তিনগর, চানমারি মোড় ও আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় চারটি, অঞ্চল-৩-এর নিলক্ষেত, বুয়েটের অভ্যন্তরে, বকশীবাজার বশিরউদ্দিন পার্ক ও আলিয়া মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায় চারটি এবং অঞ্চল-৫-এর মানিকনগর ভূতের বাড়ি রেস্টুরেন্ট, সায়েদাবাদ ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্ক ও দয়াগঞ্জ এলাকায় চারটি বড় গাছ ভেঙে পড়েছে।
এ ছাড়াও অঞ্চল-১-এ ২৪টি, অঞ্চল-২ ও ৬-এ ৪০টি, অঞ্চল-৪ ও ১০-এ ছয়-সাতটি, অঞ্চল-৫, ৭, ৯ এলাকার জুরাইন কবরস্থানে ছয়টিসহ কমবেশি ১৫টি মাঝারি ও ছোট আকারের গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। চার-পাঁচটি বড় গাছ বাদে এরই মধ্যে প্রায় সব গাছ সরানো হয়েছে।
তবে ধানমণ্ডি-৩ এলাকায় ভেঙে পড়া দুটি বড় গাছ কাটা ও সরানোর জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মোহাম্মদপুর অফিসকে সহযোগিতার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও এখনো কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে করপোরেশন সেখান থেকে একটি বড় গাছ সরিয়েছে। বাকি আরেকটি গাছ সরানোর জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে গ্রিন রোড, নবীনবাগ তিতাস রোড, মুগদা মেডিক্যালের সামনে ও মুগদা প্রধান সড়ক, শাহজাহানপুর বেনজির বাগান এলাকা, শহীদবাগ, পল্টন ভিআইপি রোড, আইজি প্রিজন রোড, জয়নব রোড, সুরিটোলা স্কুল, সিক্কাটুলি পার্ক, বংশাল, কমলাপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা, শ্যামপুর, রাজারবাগ গ্রিনলাইন কাউন্টার সংলগ্ন এলাকাসহ ১৮-১৯টি স্পটে জলজট সৃষ্টি হলেও বৃষ্টি থামার পর সেসব এলাকা থেকে পানি সরে যায়।
তবে গ্রিন রোডের জলজট নিয়ে মাঠপর্যায়ে কার্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, হাতিরঝিল আউটলেট খুলে দিতে বারবার অনুরোধ করা হলেও রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এক ঘণ্টা বিলম্বে গেট খোলেন। ফলে বৃষ্টির পানি সেখানে জলজট সৃষ্টি করে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কিছুটা ভোগান্তি হলেও বৃষ্টি থামার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানি সরে যায়।