যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ৪০ ভাগ কাজ শেষ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যমুনার উপর বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৪০ ভাগেরও বেশি। সেতুটিতে রেল চলাচল শুরু হবে ২০২৪ সালের আগস্টে।

যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতুর নকশায় প্রথমে রেলসংযোগ ছিলো না। তবে ১৯৯৮ সালের জুনে সেতুটি উদ্বোধনের আগেই রেল ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়।

সাত বছরের মাথায় সড়ক সেতুটিতে ফাটল ধরা পরে। ট্রেন চলাচলে সৃষ্ট কম্পন-ই এর কারণ। ঝুঁকির সর্তকতায় সিঙ্গেল লাইনে গতি কমিয়ে চালাতে হচ্ছে ট্রেন।

বাধা ডিঙ্গাতে ওই সেতুর সমান্তরালে যমুনায় এগিয়ে চলছে রেল সেতুর নির্মাণের কাজ। ডাবল লাইনের সেতুটি চালু হলে  ঘন্টায় ১শ’ ২০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে ট্রেন। মালবাহীসহ ৩৮টি রেলের স্থলে চলবে ৬৮টি। দুটি লাইন থাকায় এক সাথে দুটি ট্রেন দু’দিকে চলে যেতে পারবে।

রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, “যমুনা সেতুর সঙ্গে রেলসেতু সংযোগ করা হয়েছিল কিন্তু এটা যেহেতু যথেষ্ট নয় সেই কারণে নতুন করে যমুনা নদীর উপর আরেকটি বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণ হচ্ছে। যেখানে ডাবল লাইনে চলবে ট্রেন।”

বলতে গেলে, যমুনার বুকে ভাড়ি ভাড়ি যন্ত্রের মেলা বসেছে এখন। মাঝ নদীতে ভাসছে বড় বড় ক্রেন। নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ প্রান্তে দিন কি রাত, নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলছে নির্মাণযজ্ঞ।

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা আশাবাদী যে, ২০২৪ সালের মধ্যে এই সেতুর কাজ শেষ করতে পারবে।”

৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর সেতুটি প্রত্যেকটি পিলারের গভীরতা ৩৭ মিটার। সব মিলিয়ে ৫০টি পিলারের ২৮টির কাজ শেষ। আর ৩৭টি স্প্যান বসবে সেতুতে। যার প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ১শ’ মিটার।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার সিডিউল রয়েছে। ইতিমধ্যে কাজের ৪০ শতাংশের মতো অগ্রগতি হয়েছে। পিলারের পাইলিংয়ের বেশিরভাগই হয়ে গেছে।”

১৬ হাজার ৭শ’ ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটিতে ১২ হাজার ১শ’ ৪৯ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। বাদ বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর