এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মাঝে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গিকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে কোনো সরকার প্রধান এদেশের নাগরিকদের এতো সুযোগ-সুবিধা করে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য দুর্গম অঞ্চলের প্রতিটি পরিবারকে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছেন।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ায় সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পার্বত্য মন্ত্রী।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের মাধ্যমে তারাছা ইউনিয়নে ১ হাজার ২৪০টি পরিবারকে সোলার প্যানেল প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরো বলেন, প্রতি উপকারভোগীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এক লাখ টাকার অধিক মূল্যের সোলার প্যানেল সিস্টেম দেওয়া হবে। শুধু তাই না, সরঞ্জামগুলো স্থাপনের জন্য প্রতি পরিবারকে ৬৫০ টাকা করে প্রদান করা হবে। এ সোলার প্যানেল সঠিকভাবে ব্যবহার করলে অন্ততপক্ষে ২০ বছর পর্যন্ত প্রতিটি পরিবার বিনামূল্যে বিদ্যুতের আলো পাবেন। প্রত্যেক উপকারভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একজনকে এর ব্যবহারবিধি জানার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। প্রত্যেকে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আরও ৬৫০ টাকা করে পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শুধু ফ্রি সোলার প্যানেলই দিচ্ছেন না। সঙ্গে টাকাও দিচ্ছেন। তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, কোনো সরকার কি এর আগে এভাবে ফ্রি মেশিনপত্রসহ টাকা দিয়েছে?
মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরো বলেন, দুর্গম ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে গ্রীড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছানো অত্যন্ত দুষ্কর ও ব্যয়বহুল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এই তিন জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকার সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণ ও স্থাপন করে দেয়া হবে। পার্বত্য দুর্গম এলাকায় ১০ হাজার ৮৯০টি পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম এবং ২ হাজার ৮১৪টি সোলার কমিউনিটি সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করছে সরকার।
পরে মন্ত্রী উপকারভোগীদের মাঝে বিদ্যুৎ সরঞ্জাম বিতরণ করেন এবং সেগুলো স্থাপনের জন্য প্রত্যেক উপকারভোগীকে নগদ ৬৫০ টাকা করে বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) নুরুল আলম চৌধুরী, সদস্য-বাস্তবায়ন ও প্রকল্প পরিচালক মো. হারুন অর-রশিদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম পিপিএম, জেলা পরিষদ সদস্য মো. মোজাম্মেল হক বাহাদুর, বাবু সিংঅং খুমী, রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চহাইমং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী।