ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা উপসচিবকে ‘বেয়াদব’ বললেন উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • ১৪৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভাগীয় পদোন্নতিতে দুর্নীতি সমর্থন না করে আপত্তি জানানোর কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে ‘বেয়াদব’ আখ্যা দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের সাধারণ প্রশাসনের উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস।  তিনি মাউশির বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সদস্য সচিব।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস এ আখ্যা দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় মাউশি। ২০২১ সালে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী, দক্ষ বেয়ারার, বুকসর্টারসহ চতুর্থ শ্রেণির পদ থেকে পদোন্নতির জন্য পরীক্ষাও নেওয়া হয়। এতে অংশ নেন ৯২৯ প্রার্থী। কিন্তু পরীক্ষার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

শিক্ষা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং পিএসসির প্রতিনিধিরা পদোন্নতির প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি বলে অভিমত দেন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা পদোন্নতিতে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তোলেন। দীর্ঘদিন পদোন্নতি পেইন্ডিং রাখতে বাধ্য হয় মাউশি।

তবে অধিদফতর জানায়, ২০০ জনের মতো প্রার্থীকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পিএসসির প্রতিনিধিরা সম্মতি দেন। এই পদোন্নতিতে আরও প্রার্থী যোগ করার প্রচেষ্টা চলছে। সে কারণে পদোন্নতির বিষয়টি সম্পন্ন করা হয়নি।

এসব বিষয় জানতে মঙ্গলবার সাধারণ প্রশাসনের উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের কার্যালয়ে দেখা করেন সাংবাদিকরা। পদোন্নতি কমিটির প্রতিনিধি সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বাজেট) নূরে আলম পদোন্নতির প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন কি না, জানতে চাইলে বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‌‘উনি একটা “বেয়াদব”।’

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ‘বেয়াদব’ বলা কতটা সমীচীন, জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সাধারণ প্রশাসনের উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনকোট বলেছি। এটি নিউজ করার বিষয় না।’

পরে বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে উপস্থিত সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য তদবির করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিক্ষা উপসচিবকে ‘বেয়াদব’ বললেন উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস

আপডেট টাইম : ০৬:২০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভাগীয় পদোন্নতিতে দুর্নীতি সমর্থন না করে আপত্তি জানানোর কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে ‘বেয়াদব’ আখ্যা দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের সাধারণ প্রশাসনের উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস।  তিনি মাউশির বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সদস্য সচিব।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস এ আখ্যা দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় মাউশি। ২০২১ সালে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী, দক্ষ বেয়ারার, বুকসর্টারসহ চতুর্থ শ্রেণির পদ থেকে পদোন্নতির জন্য পরীক্ষাও নেওয়া হয়। এতে অংশ নেন ৯২৯ প্রার্থী। কিন্তু পরীক্ষার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

শিক্ষা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং পিএসসির প্রতিনিধিরা পদোন্নতির প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি বলে অভিমত দেন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা পদোন্নতিতে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তোলেন। দীর্ঘদিন পদোন্নতি পেইন্ডিং রাখতে বাধ্য হয় মাউশি।

তবে অধিদফতর জানায়, ২০০ জনের মতো প্রার্থীকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পিএসসির প্রতিনিধিরা সম্মতি দেন। এই পদোন্নতিতে আরও প্রার্থী যোগ করার প্রচেষ্টা চলছে। সে কারণে পদোন্নতির বিষয়টি সম্পন্ন করা হয়নি।

এসব বিষয় জানতে মঙ্গলবার সাধারণ প্রশাসনের উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের কার্যালয়ে দেখা করেন সাংবাদিকরা। পদোন্নতি কমিটির প্রতিনিধি সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বাজেট) নূরে আলম পদোন্নতির প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন কি না, জানতে চাইলে বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‌‘উনি একটা “বেয়াদব”।’

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ‘বেয়াদব’ বলা কতটা সমীচীন, জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সাধারণ প্রশাসনের উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনকোট বলেছি। এটি নিউজ করার বিষয় না।’

পরে বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে উপস্থিত সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য তদবির করেন তিনি।