হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফুটবলের কিংবদন্তি দিয়োগো ম্যারাডোনার সঙ্গে কেউ কেউ লিওনেল মেসির তুলনা করেন। এটি মানতে পারেন না অনেকেই।
তাদের উদ্দেশে মেসিভক্তদের প্রশ্ন— গোটা ক্যারিয়ারে কী অর্জন করেননি সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী? তখন জবাব আসে, ম্যারাডোনার মতো বিশ্বকাপ এনে দিতে পারেননি মেসি।
সে কথা ভালোই জানা মেসিরও। তাই আসন্ন কাতার বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে তিনি।
কোপা আমেরিকার শিরোপা এনে আলবিসেলেস্তেদের ২৮ বছরের খরা ঘুচিয়েছেন। এবার বিশ্বকাপটা জিতলেই স্বদেশি কিংবদন্তির পাশে নিজের নাম লেখাতে পারবেন নিশ্চিত। কিন্তু এরই মধ্যে ৩৫ বছর চলছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের বয়স।
তাই অবসরের চিন্তাই এলো মাথায় তার। এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, কাতার বিশ্বকাপই তার শেষ। এর পর আর তাকে ফুটবল বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে না।
আর্জেন্টিনার সাংবাদিক সেবেস্তিয়ান ভিগনোলোকে সাক্ষাৎকার দেন মেসি।
সেখানে আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমি দিন গুনছি কবে বিশ্বকাপ শুরু হবে। সত্যি বলতে, আমি উত্তেজিত। মনের মধ্যে চলছে যে কী হবে বিশ্বকাপে। এটিই আমার শেষ, কেমন যাবে বিশ্বকাপটা? একদিকে আমি যেমন বিশ্বকাপে নামার জন্য ছটফট করছি, তেমনি যাতে ভালো খেলতে পারি সেটির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছি।’
এবার আর্জেন্টিনা ফেভারিট কিনা প্রশ্নে মেসির ভাষ্য— প্রতিটি বিশ্বকাপেই শিরোপা ঘরে তোলার মিশনে মাঠে নামে। তাই ফেভারিট প্রশ্নে কিছুই বলার নেই তার।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, আর্জেন্টিনা ফেভারিট কিনা। তবে আর্জেন্টিনা সবসময়ই বিশ্বকাপ জয়ের দাবিদার। কারণ দেশটির ফুটবল ইতিহাস। এখন তো বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আরও বেশি দাবিদার। কারণ আমরা এখন সে পথেই রয়েছি।
এর পর অন্যসব দলকে সমীহ করলেন মেসি। তিনি বলেন, ‘আমরা ফেভারিট নই। আমি মনে করি, এখানে আরও দল আছে, যারা আমাদের ওপরে রয়েছে।’
এবার দল হিসেবে আর্জেন্টিনা দারুণ ছন্দে আছে। মানসিক ও শারীরিক সব দিক দিয়েই সপ্রতিভ আলবিসেলেস্তেরা। মাঠে এর ভালো প্রভাব পড়লেও বিশ্বকাপ মঞ্চ বড়ই কঠিন বলে জানালেন মেসি।
পিএসজি তারকা বলেন, ‘একটা বিশ্বকাপে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। প্রতিটি ম্যাচই হয় খুব কঠিন। ফেভারিটরা সবসময় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে না।’
১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে দুটি বিশ্বকাপ জয় করেছে আর্জেন্টিনা। এর পর ১৯৯০ এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিলেন তারা। এবারের বিশ্বকাপে তারা রয়েছে গ্রুপ ‘সি’তে। ২২ নভেম্বর প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে সৌদি আরবের। এর পর তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ মেক্সিকো ও পোল্যান্ড।