ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিপাকে সেবা প্রত্যাশীরা সড়ক আটকে বিক্ষোভে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া চিৎকার করে জিয়াউল আহসান বললেন, ‘আমি কখনোই আয়নাঘরে চাকরি করিনি সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ স্ত্রীর মরদেহ বাড়ি নেওয়ার পথে প্রাণ হারালেন স্বামী তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এক সপ্তাহে কমিটি গঠন পুষ্পা টু’ সিনেমার জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন রাশমিকা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ৫ দিনের রিমান্ডে

ইরানে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, আটকা পড়েছেন বহু শিক্ষার্থী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৯৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইরানে পুলিশের সঙ্গে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তেহরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার পার্কিংয়ের ভেতর ওই শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে যেসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা গেছে পুলিশের গুলি চালাচ্ছে এবং ছাত্ররা দৌড়ে পালাচ্ছে। সম্প্রতি পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ওই তরুণী পোশাক সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

পুলিশ হেফাজতে থাকার পর হাসপাতালে ওই তরুণীর মৃত্যু ঘটে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগ করা হয়। তবে এই অভিযোগ কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, তার ওপর কোন নির্যাতন করা হয়নি। তার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়।

তেহরানে গত ১৩ সেপ্টেম্বর নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ যখন আমিনিকে গ্রেফতার করে তখন তার কিছু চুল দেখা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। একটি আটক কেন্দ্রে তাকে নিয়ে যাওয়ার অল্প সময় পরই মাহসা আমিনি অজ্ঞান হয়ে যান এবং কোমায় চলে যান।

তিনদিন পর তিনি হাসপাতালে মারা যান। কর্মকর্তারা তার মাথায় লাঠির বাড়ি মেরেছে এবং তাদের একটি গাড়িতে আমিনির মাথা ঠুকে আঘাত করা হয়েছে এমন অভিযোগ পুলিশের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা যদি এখনই এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ান তাহলে একদিন তাদেরও একই ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একটি গাড়িতে যারা বসে ভিডিও করছিল তাদের গুলি করতে মোটরবাইকে করে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা আসছে। ইরান ইন্টারন্যাশনাল সাইটসের খবরে বলা হচ্ছে, ছাত্রাবাসগুলোতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে এবং গুলি করেছে। অন্য এক খবরে বলা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।

রোববার ছিল এমন একটা দিন যখন অনেক বিক্ষোভকারী ছাত্ররা প্রথমবারের মতো সেখানে যায়। খবরে বলা হচ্ছে, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সংঘর্ষের খবর শুনে একটু বেশি রাতের দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান দরজায় বিক্ষোভকারীরা সমবেত হতে থাকেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। গত দুই রাতে তেহরান এবং দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে। ইরান হিউম্যান রাইটস বলছে, ইরানজুড়ে এখন পর্যন্ত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু

ইরানে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, আটকা পড়েছেন বহু শিক্ষার্থী

আপডেট টাইম : ১০:২২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইরানে পুলিশের সঙ্গে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তেহরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার পার্কিংয়ের ভেতর ওই শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে যেসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা গেছে পুলিশের গুলি চালাচ্ছে এবং ছাত্ররা দৌড়ে পালাচ্ছে। সম্প্রতি পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ওই তরুণী পোশাক সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

পুলিশ হেফাজতে থাকার পর হাসপাতালে ওই তরুণীর মৃত্যু ঘটে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগ করা হয়। তবে এই অভিযোগ কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, তার ওপর কোন নির্যাতন করা হয়নি। তার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়।

তেহরানে গত ১৩ সেপ্টেম্বর নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ যখন আমিনিকে গ্রেফতার করে তখন তার কিছু চুল দেখা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। একটি আটক কেন্দ্রে তাকে নিয়ে যাওয়ার অল্প সময় পরই মাহসা আমিনি অজ্ঞান হয়ে যান এবং কোমায় চলে যান।

তিনদিন পর তিনি হাসপাতালে মারা যান। কর্মকর্তারা তার মাথায় লাঠির বাড়ি মেরেছে এবং তাদের একটি গাড়িতে আমিনির মাথা ঠুকে আঘাত করা হয়েছে এমন অভিযোগ পুলিশের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা যদি এখনই এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ান তাহলে একদিন তাদেরও একই ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একটি গাড়িতে যারা বসে ভিডিও করছিল তাদের গুলি করতে মোটরবাইকে করে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা আসছে। ইরান ইন্টারন্যাশনাল সাইটসের খবরে বলা হচ্ছে, ছাত্রাবাসগুলোতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে এবং গুলি করেছে। অন্য এক খবরে বলা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।

রোববার ছিল এমন একটা দিন যখন অনেক বিক্ষোভকারী ছাত্ররা প্রথমবারের মতো সেখানে যায়। খবরে বলা হচ্ছে, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সংঘর্ষের খবর শুনে একটু বেশি রাতের দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান দরজায় বিক্ষোভকারীরা সমবেত হতে থাকেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। গত দুই রাতে তেহরান এবং দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে। ইরান হিউম্যান রাইটস বলছে, ইরানজুড়ে এখন পর্যন্ত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে।