হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আদালতের আদেশে বাতিল হওয়া রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যদি নাম পরিবর্তন বা ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই। সোমবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত ইসলামের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি-না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- এই ধরণের প্রশ্নের কোনো উত্তর হয় না। তবে যেহেতু আদালত বলেছেন, তাহলে দেওয়া কোনো সুযোগ নেই। যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল; তাহলে কী সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একই মানুষ আসবে কি-না, তাতো আর বলতে পারবো না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইরেটিয়া মেলেনা, তাহলে তো দিতে পারবো না।
অন্য নামেও হলে কি নিবন্ধন পাওযার সুযোগ আছে, এই প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন- অন্য নামে হলেও তো জিনিস তো একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাহলে তো কোনো সুযোগ নেই। আদালতের আদেশ পরিবর্তন হলে তো সেটা অন্য বিষয়। নতুন দল সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট কি গোয়েন্দার সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয়-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত নয়। আইনে আছে আমাদের কর্মকর্তারাই তদন্ত করবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে, জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদান আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও আইনগত অকার্যকর ঘোষণা করেন।