হাওর বার্তা ডেস্কঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পতিত ও লবণাক্ত জমিতে এবং ডোবা-নালার পাড়ে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। কম সময়ে অধিক ফলন ও লাভবান হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের শিবচর এলাকার চাষি শ্রীবাস দাস জানান, তার লবণাক্ত জমি পতিত পড়ে থাকতো। এই প্রথম বার ৫০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। বাগানে থাকা তরমুজ আরো ২০-৩০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
দক্ষিণ চর মজিদের মো. সিরাজ মিয়া ৬০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি জানান, কৃষি কর্মকর্তার অনুপ্রেরণায় তিনি তরমুজ চাষ করতে উত্সাহী হয়েছেন। এতে করে তার আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে। তার তরমুজের ভালো ফলন ও লাভ দেখে এলাকায় আরো কয়েক জন তরমুজ চাষ করেছেন।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ৯৯ ভাগ সরকারি অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় বীজ, সার ও ওষুধ সরবরাহ করে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উপযোগী। এপ্রিল অথবা মে মাসে মালচিং, স্বজন, পেপার ব্যবহার, সমতল জমিতে মাচা পদ্ধতি ব্যবহার করে তরমুজের বীজ বপন করা হয়। এর দুই মাস পর ফলন পাওয়া যায়। পরের এক মাসের মধ্যে তরমুজ বিক্রি শেষ হয়ে যায়। কৃষকরা প্রতি কেজি তরমুজ ৬০-৭০ টাকা দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন।
তিনি জানান, ১০ হেক্টর জমির মধ্যে পূর্ব চরবাটা ৫০ ভাগ, চরবাটা ২৫ ভাগ, চরক্লার্কে ১৫ ভাগ এবং চর জুবলিতে ১০ ভাগ জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ৮২ হাজার ২৪০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, গতানুগতিক ধারায় শসা চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যদি এ মৌসুমে সর্জন (মাছ+সবজি) পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেন তাহলে তারা আরো লাভবান হবেন।