ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিগ বস’কে এক নজর দেখতে ভিড়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • ২১৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবার ৪৫ মণ ওজনের ‘বিগ বস’ ষাঁড়ে বাজিমাৎ কিশোরগঞ্জের কোরবানির পশুর হাটে। ‘বিগ বস’কে এক নজর দেখতে জেলার বাজিতপুরের ভাগলপুর গ্রামে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের উৎসুক নারী-পুরুষ। এমন দীর্ঘকায়-বিশালাকৃতির ষাঁড় দেখে সবার চোখ যেন চড়কগাছ!

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশায় কৃষক-ব্যবসায়ী নির্বিশেষে এক শ্রেণির লোকজন ষাঁড় গরু মোটাতাজা করে থাকেন। আর এসব পশু কোরবানির হাটে বিক্রি করে সংসারের অতিরিক্ত আয়ের পথ খোঁজেন।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বানভাসি কৃষক মুর্শিদ মিয়া তাদেরই একজন। সম্পূর্ণ  প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে ‘কিশোরগঞ্জের বিগ বস’ নামে এ ষাঁড় গরুটিকে প্রতিপালন করছেন তিনি। নিয়মিত ঘাস, ভুট্টা-ভূষি, খৈল, ছোলা বুট, কলা, লালি এমনকি নাশপাতি-আপেল পর্যন্ত খাইয়ে এ ষাঁড়টিকে বড় করে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন কৃষক মুর্শিদ মিয়া।

এ ষাঁড়টির ওজন এখন ৪৫ মণে এসে ঠেকেছে। বিশালাকৃতির এ ষাঁড়েটিকে দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের উৎসুক নারী-পুরুষ। ন্যায্য মূল্য পেলে এবারের কোরবানির হাটে ‘বিগ বস’কে  বিক্রি করে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপনের স্বপ্ন দেখছেন মুর্শিদ মিয়া।

কোরবানির ঈদের হাটে বিক্রি করার জন্য কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বন্যাকবলিত হুমাইপুর গ্রামের মুর্শিদ মিয়া চার বছর ধরে ফ্রিজিয়ান শঙ্কর  জাতের এ ষাঁড় গরুকে লালন-পালন করছেন।

মোটাতাজা এবং হৃষ্ট-পুষ্ট করতে কোনো প্রকার ওষুধের আশ্রয় না নিয়ে আটা-গমের  ভূষি, ঘাস, ছোলা বুট, খেঁসারি ভূষি, বিচির কলা, ঘাস-খড়, আপেল-নাশপাতি ইত্যাদি খাইয়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এ ষাঁড় গরুটিকে নিজ সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন।

৯ ফুট ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ৯ ফুট ১ ইঞ্চি বেড়ের এ বিশালাকৃতির কালো রঙের হাতির মতো এ ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্তের বিভিন্ন বয়সের উৎসুক নারী-পুরুষ এখন ভিড় করছেন ভাগলপুর গ্রামে।

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় নিজ গ্রাম হুমাইপুর ছেড়ে পরিবার-পরিজন এবং ‘বিগ বস’সহ অন্যান্য গবাদিপশু নিয়ে মুর্শিদ মিয়া আশ্রয় নিয়েছেন একই উপজেলার ভাগলপুর গ্রামে। এখানকার আবু বাক্কার মেম্বারের পরিত্যক্ত পোল্ট্রি খামারে ঠাঁই হয়েছে ‘কিশোরগঞ্জের বিগ বস’র।

করোনার ধকল কাটতে না কাটতে এবারের কুরবানির ঈদের হাটের আগে ভয়াবহ বন্যার কারণে উপযুক্ত মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন মুর্শিদ মিয়া। তবুও স্বপ্ন দেখেন ন্যায্যমূল্যে ‘বিগ বস’কে বিক্রির।
 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিগ বস’কে এক নজর দেখতে ভিড়

আপডেট টাইম : ০৯:১৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবার ৪৫ মণ ওজনের ‘বিগ বস’ ষাঁড়ে বাজিমাৎ কিশোরগঞ্জের কোরবানির পশুর হাটে। ‘বিগ বস’কে এক নজর দেখতে জেলার বাজিতপুরের ভাগলপুর গ্রামে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের উৎসুক নারী-পুরুষ। এমন দীর্ঘকায়-বিশালাকৃতির ষাঁড় দেখে সবার চোখ যেন চড়কগাছ!

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশায় কৃষক-ব্যবসায়ী নির্বিশেষে এক শ্রেণির লোকজন ষাঁড় গরু মোটাতাজা করে থাকেন। আর এসব পশু কোরবানির হাটে বিক্রি করে সংসারের অতিরিক্ত আয়ের পথ খোঁজেন।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বানভাসি কৃষক মুর্শিদ মিয়া তাদেরই একজন। সম্পূর্ণ  প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে ‘কিশোরগঞ্জের বিগ বস’ নামে এ ষাঁড় গরুটিকে প্রতিপালন করছেন তিনি। নিয়মিত ঘাস, ভুট্টা-ভূষি, খৈল, ছোলা বুট, কলা, লালি এমনকি নাশপাতি-আপেল পর্যন্ত খাইয়ে এ ষাঁড়টিকে বড় করে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন কৃষক মুর্শিদ মিয়া।

এ ষাঁড়টির ওজন এখন ৪৫ মণে এসে ঠেকেছে। বিশালাকৃতির এ ষাঁড়েটিকে দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের উৎসুক নারী-পুরুষ। ন্যায্য মূল্য পেলে এবারের কোরবানির হাটে ‘বিগ বস’কে  বিক্রি করে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপনের স্বপ্ন দেখছেন মুর্শিদ মিয়া।

কোরবানির ঈদের হাটে বিক্রি করার জন্য কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বন্যাকবলিত হুমাইপুর গ্রামের মুর্শিদ মিয়া চার বছর ধরে ফ্রিজিয়ান শঙ্কর  জাতের এ ষাঁড় গরুকে লালন-পালন করছেন।

মোটাতাজা এবং হৃষ্ট-পুষ্ট করতে কোনো প্রকার ওষুধের আশ্রয় না নিয়ে আটা-গমের  ভূষি, ঘাস, ছোলা বুট, খেঁসারি ভূষি, বিচির কলা, ঘাস-খড়, আপেল-নাশপাতি ইত্যাদি খাইয়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এ ষাঁড় গরুটিকে নিজ সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন।

৯ ফুট ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ৯ ফুট ১ ইঞ্চি বেড়ের এ বিশালাকৃতির কালো রঙের হাতির মতো এ ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্তের বিভিন্ন বয়সের উৎসুক নারী-পুরুষ এখন ভিড় করছেন ভাগলপুর গ্রামে।

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় নিজ গ্রাম হুমাইপুর ছেড়ে পরিবার-পরিজন এবং ‘বিগ বস’সহ অন্যান্য গবাদিপশু নিয়ে মুর্শিদ মিয়া আশ্রয় নিয়েছেন একই উপজেলার ভাগলপুর গ্রামে। এখানকার আবু বাক্কার মেম্বারের পরিত্যক্ত পোল্ট্রি খামারে ঠাঁই হয়েছে ‘কিশোরগঞ্জের বিগ বস’র।

করোনার ধকল কাটতে না কাটতে এবারের কুরবানির ঈদের হাটের আগে ভয়াবহ বন্যার কারণে উপযুক্ত মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন মুর্শিদ মিয়া। তবুও স্বপ্ন দেখেন ন্যায্যমূল্যে ‘বিগ বস’কে বিক্রির।