হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি ভালো ফলন হওয়া ও সরকারি প্রণোদনার পাওয়ায় সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হচ্ছে এই অঞ্চলের চাষিরা। তাছাড়া বীজ ভাঙিয়ে তেল নেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় স্থানীয় ভোক্তারাও সূর্যমুখী তেল কিনছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, চলতি মৌসুমে ভোলায় ৫০৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনাই ৩৮৪ হেক্টর বেশি। চলতি বছর মোট ফলন হয়েছে ১ হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন। বর্তমানে বাজারে ৩ হাজার টাকা মণ দরে সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসাবে মোট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১০ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার টাকা। আর সূর্যমুখীর আবাদে কৃষকদের মোট খরচ হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তাঁদের লাভ হয়েছে ৮ কোটি ৫ হাজার টাকা। তবে যাঁরা তেল ভাঙিয়ে বিক্রি করেন, তাঁদের লাভ আরও বেশি।
মনপুরা উপজেলার সূর্যমুখী চাষি মো. শাহজালাল বলেন, চলতি মৌসুমে ৬০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছি। এতে আমার সাড়ে ৯ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৭০ কেজি ফলন পেয়েছেন। তা মেশিনে ভাঙানোর পরে ১২০ কেজি তেল ও ২৪০ কেজি খইল পেয়েছেন। খরচ বাদে আমার লাভ হয়েছে ৩১ হাজার টাকা।
ভোলা সদর উপজেলার সূর্যমুখী মো. সেলিম বলেন, এবার ৬ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে ৭০ কেজি ফলন পেয়েছি। এতে খরচ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৬০০ টাকা। ১ হাজার টাকা খরচ করে ৬ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজউদ্দিন বলেন, মৌসুমের শুরুতে ও শেষে বৃষ্টি এবং মাঝে খরা দেখা দেওয়ায় এ বছর সূর্যমুখীর ফলন আশানুরূপ হয়নি। তবে তেলের দাম বেশি হওয়ায় এবং এলাকাতেই সূর্যমুখী ভাঙানোর ব্যবস্থা থাকায় কৃষকদের কয়েক গুণ লাভ হয়েছে।