ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যায় কিশোরগঞ্জের ১৯১ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
  • ১১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বন্যার কারণে কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ১৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। পানি উঠেছে বসত-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্নস্থানে।

বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়া এবং ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ১৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এখন পর্যন্ত যে ১৫৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এর মধ্যে ৫১টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল এবং গবাদিপশুও রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক ঢাকা পোস্টকে জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ১৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বন্যার কারণে হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলার
১৯১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষকদেরকে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, নিকলী, বাজিতপুর ও ভৈরব উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। বন্যা দুর্গতদের জন্য ২৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৩৮টি পরিবারের প্রায় ১২ হাজার মানুষকে আশ্রয় নিয়েছে। বন্ধ রয়েছে ১৫ গ্রামের বিদুৎ সংযোগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বন্যায় কিশোরগঞ্জের ১৯১ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

আপডেট টাইম : ১০:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বন্যার কারণে কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ১৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। পানি উঠেছে বসত-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্নস্থানে।

বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়া এবং ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ১৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এখন পর্যন্ত যে ১৫৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এর মধ্যে ৫১টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল এবং গবাদিপশুও রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক ঢাকা পোস্টকে জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ১৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বন্যার কারণে হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলার
১৯১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষকদেরকে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, নিকলী, বাজিতপুর ও ভৈরব উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। বন্যা দুর্গতদের জন্য ২৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৩৮টি পরিবারের প্রায় ১২ হাজার মানুষকে আশ্রয় নিয়েছে। বন্ধ রয়েছে ১৫ গ্রামের বিদুৎ সংযোগ।