হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া’—এ মহাসত্য বাণীকে প্রমাণ করার জন্য আমরা দুনিয়ার সমস্ত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াই। খোঁজার চেষ্টা করি প্রকৃতি কোথায় তার অপরূপ ঢেলে দিয়েছে প্রকৃতিপ্রেমিকদের আকর্ষণ করার জন্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পাহাড়, হাওর, বাঁওড়, ধানখেত, নদীবেষ্টিত প্রিয় মাতৃভূমির লোকায়িত রূপ অধরাই থেকে যায় বহু ভ্রমণপিপাসুর কাছে।
বাংলাদেশে অসংখ্য পর্যটন এলাকা রয়েছে, যার মধ্যে কিশোরগঞ্জের হাওরগুলো প্রকৃতির অশেষ দান। দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি যেকোনো প্রকৃতিপ্রেমীর মনে আনন্দের ঢেউ তুলবে। প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে ঢাকা থেকে শত শত মানুষ আসে কিশোরগঞ্জ হাওরে।
কিশোরগঞ্জের ইটনা,অষ্টগ্রাম,মিঠামইন হাওরে চলাচলের এক মাত্র বাহন ছোট ছোট নৌকা আর স্পীডবোট। উত্তাল হাওরে নৌকা বা স্পীডবোট ঝড়ের কবলে পরে মাঝে মধ্যেই ঘটে দূর্ঘটনা।
হাওরের নৌকা, স্পীডবোট দূর্ঘটনা রোধকল্পে প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল ইসলাম মোল্লা। গত ১৬ জুন বেলা ১২.৪৫ ঘটিকায় নৌ ও স্পীডবোট দূর্ঘটনা রোধকল্পে উপস্থিত যাত্রী সাধারন, ট্রলারের মাঝি, ট্রলারের হেল্পার, স্পীডবোট ড্রাইভারদের নিয়ে ইটনা থানাধীন ইটনা পুরাতন বাজার ট্রলারঘাটে জনসচেতনমূলক সভা করেন। উক্ত সভায় তিনি হাওরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু বিষয়ের উপর বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, ১)আগামী ০৭ দিনের মধ্যে সকল ট্রলার, স্পীডবোট এ নূন্যতম ১০টি করে লাইফ জেকেট থাকতে হবে। ২) অতিরিক্ত যাত্রী নিয়া ট্রলার ও স্পীডবোট যাতায়াত করবে না। ৩) দূর্যোগপূর্ণ আবওহাওয়া ক্ষেত্রে আবওহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোন ট্রলার ও স্পীডবোট ঘাট হইতে ছেড়ে যাবে না। ৪) ট্রলার ও স্পীডবোট মালিকগণ তাহাদের নৌযানের জন্য বিআইডব্লিউটি হইতে লাইসেন্স সংগ্রহ করবেন।
ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জের জনসচেতনামূলক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ জনগণ। তারা বলছে, হাওরের জন্য এই সতর্কবার্তা গুলো প্রয়োজন ছিল।