ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ভোটগ্রহণ শেষ, যা বললেন দুই মেয়র প্রার্থী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
  • ১০৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপির দুই সাবেক নেতা ও মেয়র প্রাথী মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সার।

বুধবার বিকাল ৪টার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসা করেছেন।

হোচ্ছাম হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাক্কু বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুবই সুন্দর হয়েছে। ইভিএমের কারণে ভোট কাস্টিং কম হয়েছে। অনেকে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। আমি তো মনে করেছিলাম, ইভিএম শুধু জাতীয় নির্বাচনের জন্য। কিন্তু সিটি নির্বাচনের মাত্র একশ কেন্দ্রেই যে জটিলতা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে তো হাজার হাজার কেন্দ্র থাকবে। এটা ইভিএমে যদি হয়, তাহলে কী হবে তা এখনই বুঝা যাচ্ছে।

নির্বাচনের পরিবেশের জন্য জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে আরেক মেয়র প্রার্থী নিজামউদ্দিন কায়সার বলেন, খুবই ভালো নির্বাচন হয়েছে। এখন যদি ইভিএমে কারচুপি না হয় তাহলে আমার পক্ষেই রায় আসবে। ঘোড়া প্রতীকে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে- ইভিএমে কোনো কারিগরি না করা হলে তা ফলাফলে প্রতিফলন ঘটবে।

উল্লেখযোগ্য কোনো সংঘাত-সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং দেশের প্রায় দুইশ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ।

বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। উৎসবমুখর পরিবেশেই স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে গতি কিছুটা স্লো ছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। এছাড়া মেশিন ঠিকমতো কাজ না করায় কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট শুরু হতে দেরি হয়েছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা।

কুমিল্লা সিটিতে দুই-একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট না দিয়েই বাড়ি চলে গেছেন।

এ ছাড়া ১৭৬টি ইউনিয়ন পরিষদ, পাঁচটি পৌরসভা ও চারটি উপজেলা পরিষদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।

দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভোটকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় ভোটগ্রহণ শেষ, যা বললেন দুই মেয়র প্রার্থী

আপডেট টাইম : ০৫:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপির দুই সাবেক নেতা ও মেয়র প্রাথী মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সার।

বুধবার বিকাল ৪টার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসা করেছেন।

হোচ্ছাম হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাক্কু বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুবই সুন্দর হয়েছে। ইভিএমের কারণে ভোট কাস্টিং কম হয়েছে। অনেকে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। আমি তো মনে করেছিলাম, ইভিএম শুধু জাতীয় নির্বাচনের জন্য। কিন্তু সিটি নির্বাচনের মাত্র একশ কেন্দ্রেই যে জটিলতা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে তো হাজার হাজার কেন্দ্র থাকবে। এটা ইভিএমে যদি হয়, তাহলে কী হবে তা এখনই বুঝা যাচ্ছে।

নির্বাচনের পরিবেশের জন্য জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে আরেক মেয়র প্রার্থী নিজামউদ্দিন কায়সার বলেন, খুবই ভালো নির্বাচন হয়েছে। এখন যদি ইভিএমে কারচুপি না হয় তাহলে আমার পক্ষেই রায় আসবে। ঘোড়া প্রতীকে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে- ইভিএমে কোনো কারিগরি না করা হলে তা ফলাফলে প্রতিফলন ঘটবে।

উল্লেখযোগ্য কোনো সংঘাত-সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং দেশের প্রায় দুইশ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ।

বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। উৎসবমুখর পরিবেশেই স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে গতি কিছুটা স্লো ছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। এছাড়া মেশিন ঠিকমতো কাজ না করায় কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট শুরু হতে দেরি হয়েছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা।

কুমিল্লা সিটিতে দুই-একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট না দিয়েই বাড়ি চলে গেছেন।

এ ছাড়া ১৭৬টি ইউনিয়ন পরিষদ, পাঁচটি পৌরসভা ও চারটি উপজেলা পরিষদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।

দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভোটকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে তারা।