হাওর বার্তা ডেস্কঃ আইনজীবীরা জেলে গিয়ে পুতিনের সমালোচক নাভালনির খোঁজ পাননি। রাশিয়ার বিরোধী নেতা ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক আলেক্সেই নাভালনিকে জেল থেকে সরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আইনজীবীরা জেলে তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর কর্মকর্তারা জানিয়ে দেন, ওই নামে কেউ আর জেলে নেই। এর পরই নাভালনির সহযোগী ও সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে এর আগে নাভালনিকে বিষ প্রয়োগ করে মারার চেষ্টা হয়েছিল।
সামাজিকমাধ্যমে নাভালনির সহযোগী ও সমর্থকরা জানিয়েছেন, আইনজীবীরা মস্কো থেকে ১১৯ কিলোমিটার দূরে পকরভ জেলে গিয়েছিলেন তার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই নামে কেউ জেলে নেই। কিন্তু নাভালনিকে যে জেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়টি তার পরিবার বা আইনজীবীদের জানানো হয়নি।
তার সমর্থকদের ধারণা, নাভালনিকে এমন জেলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে পরিবেশ ও পরিস্থিতি আরও কঠোর।
নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ টুইট করে বলেছেন, আমরা জানতে পারিনি নাভালনি কোথায়। এর আগে যে প্রশাসন তাকে মারতে চেয়ে ছিল, তারাই তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। এখন প্রথম কাজ হলো, নাভালনি কোথায় তা খুঁজে বের করা। সেই কাজ তাড়াতাড়ি করতে হবে।
গত মে মাসে নাভালনির একটি আবেদন আদালত খারিজ করে দেয়। তার পর তাকে আরও সুরক্ষিত জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাশিয়াকে অনুরোধ করেছে, তারা যেন আইনজীবীদের নাভালনির কাছে যেতে দেয়।
এ বিষয় বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার আঞ্চলিক কারাগারের পর্যবেক্ষক সের্গেই ইয়াজহান ফোনে বলেছেন, আলেক্সেই নাভালনিকে মস্কো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) পূর্বে ভ্লাদিমিরের কাছে মেলেখভোর আইকে-৬ পেনাল কলোনিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইয়াজহান স্থানীয় পাবলিক মনিটরিং কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। সকল রাশিয়ান অঞ্চলে বন্দিদের অধিকার রক্ষায় কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকে এই সংস্থাটি।
অবশ্য নাভালনিকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আলেক্সেই নাভালনি হলেন— প্রেসিডেন্ট পুতিনের কট্টর সমালোচক। গত মাসে তিনি আদালতে ভিডিওবার্তায় বলেছিলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে পুতিন বোকার মতো কাজ করেছেন। এর ফলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মানুষ মারা যাচ্ছেন।
সূত্র : রয়টার্স, ডয়চে ভেল।