হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিভিরোদনেতস্ক অভিমুখী সব সেতু ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর। সেরহাই গাইদাই বলেছেন, শহরটি ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে আর রসদ সরবরাহ এবং বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার গোলাবর্ষণে তাদের বাহিনী শহরের কেন্দ্রস্থল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সিভিরোদনেতস্ক শহর দখল রাশিয়ার অন্যতম সামরিক লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।
সিভিরোদনেতস্ক এবং কাছে লিসিচানস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ পেলে মস্কো পুরো লুহানস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পাবে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ ইতোমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ করছে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
ওই শহরটি রক্ষার লড়াইয়ে নিহতদের মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ সেনা জর্ডান গ্যাটলি রয়েছেন বলে রবিবার নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, শহরটির জন্য মানুষের যে মূল্য দিতে হয়েছে তা ‘ভয়াবহ’। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা ‘আক্ষরিকভাবে প্রতি মিটারের জন্য’ লড়াই করতে রুশ বাহিনীকে বাধ্য করেছে।
খবর পাওয়া যাচ্ছে শহরটির প্রায় ৭০ শতাংশ এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। রুশপন্থী স্বঘোষিত ডনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের এক সামরিকের মুখপাত্র বলেছেন, শহরটিতে থেকে যাওয়া ইউক্রেনীয় সেনাদের অবশ্যই ‘আত্মসমর্পণ করতে হবে নয়তো মরতে হবে’।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি যখন অভিযানের নির্দেশ দেন তখন তিনি বলেছিলেন রাশিয়ার লক্ষ্য ‘ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত এবং নিরস্ত্রীকরণ করা’। পরে আরেকটি লক্ষ্য যোগ করা হয়, ইউক্রেনের নিরপেক্ষ মর্যাদা নিশ্চিত করা।