হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি। একই সঙ্গে বাড়ছে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও।
ফলে বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা। আর ফসল ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) হাসানুর রহমান শনিবার দুপুরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১.৯৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী যমুনা নদীতে আরো ৩/৪দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় নতুন করে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
খুকনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুল্লক চাঁদ মিয়া জানান, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রামের অন্তত ২০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে বহু বসতবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ আবাদি জমি। পাউবো ভাঙন স্থানে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে। ভাঙনরোধে এই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙন কবলিত চৌহালী, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। চৌহালীতে ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু হবে।
এদিকে, যমুনা নদীর পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া, বড়াল ও চলনবিলেও পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে নদী তীরবর্তী, চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার ফসলি জমির কাচা পাট, তিল, বাদাম, আখ ও শাকসবজি বাগানে পানি উঠতে শুরু করেছে। এতে জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।