হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহানবিকে (সা) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারত। কটূক্তিকারী বিজেপি নেতা নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার (৯ জুন) থেকে দেশটির নানা প্রান্তে বিক্ষোভ হয়েছে। রাঁচিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। জানা গেছে, ওই প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ও দ্য ওয়্যার।
দ্য ওয়্যার বলেছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে হাজার হাজার মুসল্লি বিক্ষোভে রাঁচির ডেইলি মার্কেট এলাকার প্রধান সড়কে নামেন। এক সময় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ারের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ডেইলি মার্কেটের কাছে রাঁচি মূল সড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান কয়েক হাজার মুসলিম। এসময় তাদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে অন্তত দুজজন নিহত এবং ১০ জনের বেশি গুরুতর আহত হন।
সংঘর্ষে সিনিয়র পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র কুমার ঝা গুরুতর আহত হয়েছেন। রাঁচি মূল সড়ক ও ডেইলি মার্কেট এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘর্ষে আহত দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার পর মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত আরও দশজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান সড়কের ইকরা মসজিদ থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে অবস্থিত হনুমান মন্দিরের কাছে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়তে শুরু করলে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মুসল্লিরা রাঁচিতে দুটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। একটি ছিল দোরান্দা রাসলাদারবাবার মাজারের কাছে। আরেকটি ইকরা মসজিদের কাছে। প্রথম সমাবেশটি মাজার থেকে রাজেন্দ্র চক পর্যন্ত মিছিলে পরিণত হয়েছিল। আর দ্বিতীয়টি ছিল শুধুই মানববন্ধন।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ইকরা মসজিদের কাছে শুধু মানববন্ধন করা পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু হঠাৎ পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সরেজমিনে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ডিআইজি অনীশ গুপ্ত বলেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নগরীতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’ সূত্র : এনডিটিভি