ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রজনতার সংগ্রামের ফল: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান আ.লীগের রাজনীতি করা নিয়ে যা বললেন মান্না দোসরদের গ্রেফতার করা না গেলে মুক্তি পাবে না পুরান ঢাকার সাধারণ মানুষ সেলিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুই পুত্র সোলায়মান ও ইরফান বাতাসে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি, ঢাকার অবস্থা কি শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা

যেভাবে লাউয়ের পামকিন বিটল পোকা দমন করবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
  • ১৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লাউ এক প্রকার লতানো উদ্ভিদ যা এর ফলের জন্যে চাষ করা হয়। তবে বিভিন্ন পোকামাকড়ের কারণে লাউয়ের ফলন তেমন ভালো হয় না। বিশেষ করে পামকিন বিটল পোকা লাউয়ের শিকড় কেটে দেয়। চলুন জেনে নেয়া যাক যেভাবে লাউয়ের পামকিন বিটল পোকা দমন করবেন তার বিস্তারিত তথ্য।

পামকিন বিটল পোকা:
পরিচিতি: পামকিন বিটল পোকা লাল, ছোট, ডিম্বাকার আকৃতির।
ক্ষতির ধরণ:
১.পামকিন বিটলের পূর্ণ বয়স্ক পোকা চারা গাছের পাতায় ফুটো করে এবং পাতার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে ফেলে। এই পোকা বয়স্ক গাছের পাতার শিরা উপশিরাগুলো রেখে পাতার সম্পূর্ণ সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে।
২. এ পোকা ফুল ও কচি ফলে আক্রমন করে।

আরও পড়ুন: লাউয়ের নতুন জাত উদ্ভাবন

৩. এদের কীড়া শিকড় বা মাটির নীচে থাকা কান্ড ছিদ্র করে ফেলে। তাই গাছ ঢলে পড়ে এবং পরিশেষে শুকিয়ে মরে যায়।
৪. ‍অনেক সময় এরা চারা গাছ সম্পূর্ণ মেরে ফেলে বলে এসব ফসলের বীজ একাধিকবার বুনতে হয়।

পামকিন বিটল পোকা দমন ব্যবস্থাপনা:
১. চারা অবস্থায আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক পোকা ধরে মেরে ফেলতে হবে।
২. ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. চারা বের হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো ঢেকে রাখলে এ পোকার আক্রমণ থেকে চারাগুলো বেঁচে যায়।

৪. আক্রমণের হার বেশি হলে চারা গজানোর পর প্রতি মাদার চারদিকে মাটির সঙ্গে চারাপ্রতি ২-৫ গ্রাম অনুমোদিত দানাদার কীটনাশক (কার্বফুরান জাতীয় কীটনাশক) মিশিয়ে গোড়ায় পানি সেচ দেয়।

যেভাবে লাউয়ের পামকিন বিটল পোকা দমন করবেন শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান খান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ প্রজনন), বিএআরআই, গাজীপুর। লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রজনতার সংগ্রামের ফল: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

যেভাবে লাউয়ের পামকিন বিটল পোকা দমন করবেন

আপডেট টাইম : ০৯:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লাউ এক প্রকার লতানো উদ্ভিদ যা এর ফলের জন্যে চাষ করা হয়। তবে বিভিন্ন পোকামাকড়ের কারণে লাউয়ের ফলন তেমন ভালো হয় না। বিশেষ করে পামকিন বিটল পোকা লাউয়ের শিকড় কেটে দেয়। চলুন জেনে নেয়া যাক যেভাবে লাউয়ের পামকিন বিটল পোকা দমন করবেন তার বিস্তারিত তথ্য।

পামকিন বিটল পোকা:
পরিচিতি: পামকিন বিটল পোকা লাল, ছোট, ডিম্বাকার আকৃতির।
ক্ষতির ধরণ:
১.পামকিন বিটলের পূর্ণ বয়স্ক পোকা চারা গাছের পাতায় ফুটো করে এবং পাতার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে ফেলে। এই পোকা বয়স্ক গাছের পাতার শিরা উপশিরাগুলো রেখে পাতার সম্পূর্ণ সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে।
২. এ পোকা ফুল ও কচি ফলে আক্রমন করে।

আরও পড়ুন: লাউয়ের নতুন জাত উদ্ভাবন

৩. এদের কীড়া শিকড় বা মাটির নীচে থাকা কান্ড ছিদ্র করে ফেলে। তাই গাছ ঢলে পড়ে এবং পরিশেষে শুকিয়ে মরে যায়।
৪. ‍অনেক সময় এরা চারা গাছ সম্পূর্ণ মেরে ফেলে বলে এসব ফসলের বীজ একাধিকবার বুনতে হয়।

পামকিন বিটল পোকা দমন ব্যবস্থাপনা:
১. চারা অবস্থায আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক পোকা ধরে মেরে ফেলতে হবে।
২. ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. চারা বের হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো ঢেকে রাখলে এ পোকার আক্রমণ থেকে চারাগুলো বেঁচে যায়।

৪. আক্রমণের হার বেশি হলে চারা গজানোর পর প্রতি মাদার চারদিকে মাটির সঙ্গে চারাপ্রতি ২-৫ গ্রাম অনুমোদিত দানাদার কীটনাশক (কার্বফুরান জাতীয় কীটনাশক) মিশিয়ে গোড়ায় পানি সেচ দেয়।

যেভাবে লাউয়ের পামকিন বিটল পোকা দমন করবেন শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান খান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ প্রজনন), বিএআরআই, গাজীপুর। লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।