হাওর বার্তা ডেস্কঃ পর্যটন স্পট হিসেবে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের বালিখলার পরিচিতি এখন দেশজুড়ে। বর্ষায় এখানে হাওরের রূপ দেখতে ছুটে যায় শত শত মানুষ। আর এই বালিখলা থেকে বিস্তীর্ণ হাওরের গভীরে নৌকাযোগে ঘুরতে যান হাজারো মানুষ।
আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হলেও সুযোগ-সুবিধার অভাবে বালিখলা গিয়ে পর্যটকদের নানা সময়ে বিব্রত হতে হয়। যেখানে বর্ষায় হাজার হাজার নারী-পুরুষের সমাগম হতো, সেখানে অন্যসব সুবিধা যেমন তেমন, ছিল না কোনো ওয়াশ ব্লক।
তাই দূর-দূরান্তের লোকজন বালিখলায় গিয়ে প্রায়ই বিব্রত ও সমস্যায় পড়তেন। বিশেষ করে নারীরা পড়তেন চরম ভোগান্তিতে।
পর্যটকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে সেখানে একটি আধুনিক ওয়াশ ব্লক ও যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছে প্রশাসন।
উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দোতলা এই ওয়াশ ব্লক ও যাত্রী ছাউনীটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০লাখ ৫৮হাজার ৮১৪ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা। করিমগঞ্জ এলজিইডি কাজটি বাস্তাবায়ন করে।
রোববার (৫ জুন) বিকেলে ওয়াশ ব্লক ও যাত্রী ছাউনীটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এ উদ্যোগ থেকে বালিখলা ও হাওরে বেড়াতে যাওয়া লোকজন সুফল ভোগ করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে একই প্রকল্পের আওতায় সরকার ও জাইকার অর্থায়নে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১২ লাখ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়। এসব চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে ছিল ২১টি আধুনিক শয্যা, অক্সিজেন সিলিন্ডার ১১টি, এসি দুটি, ওটি স্পট লাইট দুটি, তিনটি টেবিল ও ১০টি চেয়ার।
ওয়াশ ব্লক উদ্বোধন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. হান্নান মোল্লা ও আছমা আক্তার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. বখতিয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. স্বপন মাতুব্বর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ শাহেদ রনি, সুতারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, ইডিএফ মো. খালেকুজ্জামান, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানা প্রমুখ।