হাওর বার্তা ডেস্কঃ পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে সমালোচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও রক্ষণশীল নেতা বরিস জনসন আজ সোমবার অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা থেকে ১টা) এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
অনাস্থা ভোটের জন্য, কনজারভেটিভ আইন প্রণেতাদের ১৫ শতাংশকে (বা বর্তমানে ৩৬০ জন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে অন্তত ৫৪ জন) ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডিকে চিঠি লিখতে হতো। এ কমিটি পার্টির নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জগুলো তদারকি করে। সোমবার, ব্র্যাডি ঘোষণা করেছিলেন যে, অনাস্থা ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় চিঠি তিনি পেয়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারিকালে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি আয়োজনের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর জনসন এ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন। রাজনৈতিক চাপের কারণে সাম্প্রতিক সরকারি ছুটির দিনগুলোতে খুব একটা অবসর কাটাতে পারেননি বরিস জনসন। কারণ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসন আরোহণের প্লাটিনাম জয়ন্তীর নানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
যেসব এমপি প্রকাশ্যে বরিস জনসনের বিরোধিতা করে চিঠি দিয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চাননি। কারণ তাদের আশঙ্কা হুইপ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন। জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপ বিবিসিকে বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। তার মতে, যে কোনো ভোটেই জনসন বিজয়ী হবেন।
ইতোমধ্যে বরিস করোনা মহামারির লকডাউনের মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে মদের পার্টি করার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু জনগণ তার প্রতি ক্ষুব্ধ বলেই মনে করা হচ্ছে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বরিস জনসনকে দুয়ো ধ্বনি দেওয়া হয়। চলতি মাসেই পার্লামেন্টের দুটি আসনে উপ-নির্বাচন হবে। একজনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে বসে পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ এবং অন্য জনের বিরুদ্ধে একজন বালককে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠার পর তারা পদত্যাগ করেন। সূত্র: সানডে টাইমস।