হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ও শেষ ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ জুন) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় এ পরীক্ষা। চলবে ১২টা পর্যন্ত। এই পরীক্ষায় বন্যার কারণে বাদ পড়া সিলেটসহ মোট ৩৩ জেলার পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবেন।
এর মধ্যে ১৯ জেলার সব উপজেলায় হবে পরীক্ষা। এই জেলাগুলো হলো জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, মেহেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, কক্সবাজার, ঝালকাঠি, সিলেট, ভোলা, বরগুনা, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও সিলেট।
আর আংশিক পরীক্ষা হবে ১৬ জেলায়। এগুলো হলো নওগাঁর আত্রাই, বদলগাছী, ধামুইরহাট, মহাদেবপুর ও মান্দা উপজেলা, নাটোরের নলডাঙ্গা, সদর ও সিংড়া উপজেলা, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, দৌলতপুর ও কুমারখালী উপজেলা, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও শৈলকূপা উপজেলা, সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগর ও তালা উপজেলা, বাগেরহাটের সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট ও রামপাল উপজেলা, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ি উপজেলা, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও সদর উপজেলা, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী ও মঠবাড়িয়া উপজেলা, পটুয়াখালীর বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা, সুনামগঞ্জের ছাতক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই ও ধর্মপাশা উপজেলা, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, বাহুবল ও চুনারুঘাট উপজেলা, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী, চিলমারী, সদর ও নাগেশ্বরী উপজেলা, গাইবান্ধার সদর, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান, দেশের শিক্ষক সংকট মেটাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলা পর্যায়ে তিন ধাপে হচ্ছে এই পরীক্ষা। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। এদের মধ্যে অনেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
২২ এপ্রিল প্রথম ধাপে দেশের ২২টি জেলায় পরীক্ষা হয়। আর ১২ মে প্রকাশ হয় এ ধাপের পরীক্ষার ফল। এতে ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০ মে।