ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতাকে জেতাতে মরিয়া আ’লীগ নেতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০১৬
  • ২৮৬ বার

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি নেতাকে জেতাতে মরিয়া হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মুন্সির বিরুদ্ধে। ওই বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে দলীয় মেম্বার প্রার্থী ঘোষণা দিয়েও ক্ষান্ত হননি, প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এনিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানায়, ৭ মে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে সদস্য (মেম্বার) পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন ছুট্টু এবং একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন। ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি।
গত মঙ্গলবার ইউনিয়নের পূর্ব সাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের এক নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল বিএনপি নেতা ছুট্টকে দলীয় প্রার্থী পরিচয় করিয়ে দিয়ে ভোট দেয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়। এসময় আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন জানান, তাকে দলীয় নেতাকর্মীরা সমর্থন দেয়ায় তিনি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বিএনপি নেতা ছুট্টুর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বর্তমানে প্রকাশ্যে তার চরম বিরোধীতা করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
গত ১৮ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে রায়পুর থানার এসআই মো. শাহজাহানসহ একদল পুলিশ তার বাড়িতে যায়। এসময় তিনি ঘুমে ছিলেন,বাসায় পরিবারের অন্য কোন সদস্য ছিল না। বাহিরের সামনে ও পেছনের দরজায় তালা মারা ছিল। পুলিশ তালা খুলে বাসার ভেতরে ঢুকে তাকে ‘থানা যেতে হবে’ বলে জানান। এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্য অন্য কক্ষ থেকে এসে বলে এক বোতল মদ পাওয়া গেছে। পরে তাকে থানায় নিয়ে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। গত ২৮ এপ্রিল তিনি আদালত থেকে জামিনে বের হন। আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জল বিএনপি নেতা ছুট্টুকে জেতাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মদের নাটক সাজিয়ে তাকে পুলিশে দেয় বলে অভিযোগ করেন আনোয়ার।
বামনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে বিএনপির ছুট্রুকে সদস্য প্রার্থী হিসেবে ভোট দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তাকে মদসহ আটকের ঘটনা নাটক কিনা, আমার জানা নেই। এ ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্তা নেই।
এব্যপারে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মানবকণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিএনপি নেতাকে জেতাতে মরিয়া আ’লীগ নেতা

আপডেট টাইম : ১১:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০১৬

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি নেতাকে জেতাতে মরিয়া হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মুন্সির বিরুদ্ধে। ওই বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে দলীয় মেম্বার প্রার্থী ঘোষণা দিয়েও ক্ষান্ত হননি, প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এনিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানায়, ৭ মে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে সদস্য (মেম্বার) পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন ছুট্টু এবং একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন। ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি।
গত মঙ্গলবার ইউনিয়নের পূর্ব সাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের এক নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল বিএনপি নেতা ছুট্টকে দলীয় প্রার্থী পরিচয় করিয়ে দিয়ে ভোট দেয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়। এসময় আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন জানান, তাকে দলীয় নেতাকর্মীরা সমর্থন দেয়ায় তিনি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বিএনপি নেতা ছুট্টুর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বর্তমানে প্রকাশ্যে তার চরম বিরোধীতা করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
গত ১৮ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে রায়পুর থানার এসআই মো. শাহজাহানসহ একদল পুলিশ তার বাড়িতে যায়। এসময় তিনি ঘুমে ছিলেন,বাসায় পরিবারের অন্য কোন সদস্য ছিল না। বাহিরের সামনে ও পেছনের দরজায় তালা মারা ছিল। পুলিশ তালা খুলে বাসার ভেতরে ঢুকে তাকে ‘থানা যেতে হবে’ বলে জানান। এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্য অন্য কক্ষ থেকে এসে বলে এক বোতল মদ পাওয়া গেছে। পরে তাকে থানায় নিয়ে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। গত ২৮ এপ্রিল তিনি আদালত থেকে জামিনে বের হন। আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জল বিএনপি নেতা ছুট্টুকে জেতাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মদের নাটক সাজিয়ে তাকে পুলিশে দেয় বলে অভিযোগ করেন আনোয়ার।
বামনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে বিএনপির ছুট্রুকে সদস্য প্রার্থী হিসেবে ভোট দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তাকে মদসহ আটকের ঘটনা নাটক কিনা, আমার জানা নেই। এ ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্তা নেই।
এব্যপারে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মানবকণ্ঠ