হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে ঢাকা টেস্টের মধ্যে তিনদিনের বিরতি থাকলেও দুই দল অনুশীলন করেছে মাত্র একদিন। চট্টগ্রাম টেস্ট নিষ্প্রাণ ড্র হওয়ার পর দুদলেরই লক্ষ্য এখন দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া। পাঁচদিন খেলা হলে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট ড্র হয় কমই। মিরপুরের কন্ডিশন, উইকেট সবই জানা মুমিনুল হকদের। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজ ভারতের বিপক্ষে। তার আগে এটাই টাইগারদের জন্য জয়ে ফেরার সেরা সুযোগ। জয়ের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলও। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে আজ সকাল ১০টায়।
মিরপুরের উইকেট সাধারণত মন্থর ও টার্নিং হয়ে থাকে। অথচ বোলিং আক্রমণ বাংলাদেশ দলে ইনজুরির ধাক্কা চলছে। সেরা দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম ইনজুরির কারণে নেই। ডানহাতি অফ-স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের পর নাঈম হাসানও আঙ্গুলের চোটে ছিটকে গেছেন। ভরসা এখন দুই বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আর হাসান ও তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় টেস্টের আগে রোববার অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, ‘এই টেস্টে আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ আছে। সব কিছু আমাদের পক্ষে আছে।’
দারুণ এক মাইলফলকের হাতছানি তামিম ইকবালের সামনে। আর মাত্র ১৯ রান করতে পারলেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে পাঁচ হাজার রান পূর্ণ হবে তার। তার সঙ্গে মাহমুদুল হাসান ওপেনিংয়ে ভালো জুটি গড়েছিলেন চট্টগ্রামে। দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি পায়। এটাই টিম ম্যানেজমেন্টকে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দিচ্ছে। মিরপুরে একজন ব্যাটার বাড়তে পারে। চট্টগ্রামে পাঁচ বোলার নিয়ে একাদশ সাজানোয় একজন ব্যাটার কম ছিল। দুই পেসার নিয়ে খেললেও প্রথম টেস্টে তারা কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।
মিরপুরে এক পেসার খেলানো হলে ব্যাটিং বিকল্প বাড়বে। নাঈম হাসানের জায়গায় যদি মোসাদ্দেক হোসেন সুযোগ পান তাহলে ব্যাটার আরও বাড়বে। মুমিনুল সরাসরি না বললেও ইঙ্গিত দিলেন সেই সম্ভাবনাই বেশি। প্রথম টেস্টে রান পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসও। তবে বোলিং আক্রমণ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত স্বাগতিকরা। আগের ম্যাচে খালেদ আহমেদ ব্যর্থ হয়েছেন। তবে দলে রয়েছেন ইবাদত হোসেন। অভিষেকের সুযোগ রয়েছে দুই তরুণ পেসার শহিদুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজার। তবে বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশের আস্থা সাকিব ও তাইজুল। আগের টেস্টের পারফরম্যান্স নিয়ে না ভেবে নতুন পরিকল্পনায় এগোতে চায় স্বাগতিকরা।
এদিকে চট্টগ্রাম টেস্টের পরই শ্রীলংকা তাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়েছিল। তারা এই টেস্টে এক পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে নামতে চায়। কাল শ্রীলংকার প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউডও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ চেপে ধরতে পারেনি লংকানদের। এছাড়া কনকাশন বদলি হিসাবে নামা পেসার কাসুন রাজিথা দারুণ বোলিং করেন। এবার শুরুর একাদশেই দেখা যাবে রাজিথাকে।
টেস্টে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে ম্যাচের পাঁচ দিনের মধ্যে তিনদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে মিরপুরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো থাকায় অল্প বৃষ্টি হলে খুব বেশি প্রভাব পড়ে না। আগের ম্যাচ থেকে দু’দলই চার পয়েন্ট করে পেয়েছে। এই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিতে চায়। একই লক্ষ্য সফরকারী শ্রীলংকারও।