মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের মদদে জামায়াতের সহায়তায় দেশে গুপ্তহত্যা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্মেলন প্রস্তুতির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
এইচটি ইমাম বলেন, যারা একাত্তরে গণহত্যা করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা তাদের পুনরুত্থান দেখেছি। ৯১-৯৬ সালেও তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছি।
তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ এ আমরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দেখেছি। জেএমবির উৎপত্তি দেখেছি। ৫২৫ স্থানে এক সময়ে বোমা হামলা হয়েছে। আইএসের মদদে জামায়াতের
সহায়তায় এসব গুপ্তহত্যা হচ্ছে।
এইচটি ইমাম বলেন, জামায়াতের সহযোগী হলো বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক, আইএসের সম্পর্ক, তার সঙ্গে ওয়াহাবী সম্পর্ক আছে। কিন্তু মোসাদের সম্পর্ক আছে কি না বলতে পারছি না।
চলমান গুপ্তহত্যার বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে বলা ঠিক হবে না। তবে এটুকু বলছি যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৩৭টির বেশি গুপ্তহত্যার তদন্ত শেষ করেছে। এখন চার্জশিটের অপেক্ষা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিশা দেশাইয়ের আগমন প্রসঙ্গে এইচটি ইমাম বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। আমার সঙ্গেও বসবেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের তুলনায় আমাদের আইন উন্নত, এখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
নিজামীর ফাঁসির রায় বহালকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আদালতের রায়ে নিজামীর ফাঁসি বহাল থাকায় জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করা আমাদের নির্বাচনী মেনোফেস্টুতে ছিল। রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্ট এটি প্রমাণ করেছে যে, তারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না এ ব্যাপারে এইচটি ইমাম বলেন, এটি আদালতে বিচারাধীন। আদালত যা বলবে তাই হবে। তবে সংবিধানের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় তারা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধীকরণ করতে পারেনি। জামায়াত নিষিদ্ধ করা আদালতের এখতিয়ার।