বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি বেলার নির্বাহী সৈয়দা রিজয়ানা হাসান বলেছেন, নেপালের বননির্ভর জনগোষ্ঠীর হাতে বনের কর্তৃত্ব ছেড়ে দেয়ায় উজার বনভূমির ৯০ ভাগ ফিরে এসেছে। আর আমাদের সরকার আরও বেশি ক্ষমতা দিয়ে বন বিভাগকে কুক্ষিগত করেছে। ১৯২৭ সালের বন আইন দিয়ে আজকের বাস্তবতাকে চালানো যাবে না বলেও মনে করেন তিনি।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বন আইন ১৯২৭ এর সংশোধনীর প্রস্তাব (২০১৫) এবং বন সংশ্লিষ্ট জনমানুষের অধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে এএলআরডি, বেলা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলন।
বন আইন সংশোধনী-২০১৫ এর কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই সংশোধনী মোটেই যুগোপযোগী নয়। দেশের বনভূমি উজার হয়ে যাওয়ার কোনো সমাধান দেবে না এই আইন। বরং বন বিভাগের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এই আইন সংশোধনী করলে আদিবাসীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তিনি মত দেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. ইয়াছিন আলী কতিপয় ফরেস্ট কর্মকর্তার দুর্নীতি কথা উল্লেখ করে বলেন, ফরেস্টের দুর্নীতির জন্য বন সাবার হয়, কিন্তু বন বিভাগ পরিচালনার জন্য তো তাদের দরকার। এসময় তিনি আজকের আলোচনা সভার বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উত্থাপন করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এএলআরডির চেয়ারপারসন খুশি কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, এলআরডির নির্বাহী প্রধান শামছুল হুদা প্রমুখ।