ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গী অবন্তিকা-রুনাই ১৫ বান্ধবী ও ঘনিষ্ঠ নারীর নামে ৮৬৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২
  • ১৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতারের পর দেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ জালিয়াত পিকে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) এখন ‘টপ অব দ্য কান্ট্রি’। এমনকি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির খবর ছাপিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। বিদেশে তার সম্পদের পাহাড় গড়ার খবর এখন সবার মুখে মুখে। পাশাপাশি পিকের বান্ধবী প্রীতির তথ্যও চলে এসেছে সামনে। শুধু কলকাতা বা কানাডায় সম্পদের পাহাড় নয়, দেশেও তার ১৫ বান্ধবী ও ঘনিষ্ঠ নারীদের ব্যাংক হিসাবে পাওয়া গেছে অন্তত ৮৬৭ কোটি টাকা। উপহার, গাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয়, দেশে-বিদেশে ভ্রমণসহ নানা অজুহাতে তাদের দেওয়া হয়েছে এই মোটা অঙ্কের অর্থ। পিপলস লিজিংসহ চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ নারীদের নামে-বেনামের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

দুদক সূত্র জানায়, পিকে হালদার তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে ধানমন্ডিতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকার একটি ফ্ল্যাট (বাড়ি নং-৩৯, রোড নং-১০/এ) কিনে দেন। অবন্তিকা তার আয়কর নথিতে ওই মূল্য প্রদর্শন না করে গোপন করেন। তার ব্যাংক হিসাবেও ১০ কোটি টাকার বেশি স্থানান্তর করা হয়। যা চারটি আর্থিক খাত থেকে হাতিয়ে নেন পিকে হালদার। পিকে হালদারের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে সহযোগিতা, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ গুরুতর অভিযোগে অবন্তিকা বড়ালকে অনেক আগেই গ্রেফতার করেছে দুদক।

দুদকের জালে আটকে পড়া পিকে হালদারের আরেক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নাহিদা রুনাই। রুনাই ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইন্যান্সের হেড অব বিজনেস। তার কথায় চলত ওই প্রতিষ্ঠান। তার কথায় অনেক কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণের নামে কোটি কোটি টাকা বের করে দেওয়া হয় বলে বিএফআইইউর কাছে তথ্য রয়েছে। তার নিজের হিসাবেও স্থানান্তর করা হয়েছে বিপুল অঙ্কের অর্থ। রুনাইকেও গ্রেফতার করেছে দুদক। অবন্তিকা ও রুনাই-দুজনেই এখন কারাগারে।

পিকে হালদারের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রুনাই। পাপিয়া নামক এক নারীকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালক দেখিয়ে আরেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফএস থেকে ১২০ কোটি টাকা তুলে দেন। শুভ্রা রানী নামের এক নারীকে ৮০ কোটি টাকা দেন। সুস্মিতা নামে এক নারীকে একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার দেখিয়ে ৭০ কোটি টাকা ঋণের নামে বের করে দেন পিকে হালদার। লামিয়া নামে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এক নারী সহকর্মীকে তিনি বিদেশে ঘুরতে নিয়ে যেতেন। সুন্দরী ওই তরুণী দুদকের কাছে জবানবন্দিতে তা স্বীকারও করেছেন। একইভাবে সাজিয়া রহমান নামে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আরেক সুন্দরী তরুণী সহকর্মীকে বিভিন্ন মদের পার্টিতে নিয়ে যেতেন পিকে হালদার। তিনি তার অবৈধ অর্জিত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে বান্ধবীসহ ঘনিষ্ঠদের নামে সরিয়ে নেন।

আরও জানা গেছে, কখনো ঋণের নামে, কখনো বিনোদন ভাতার নামে আবার কখনো অবৈধ টাকা আড়াল করতে পিকে হালদার বান্ধবীর নামে ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করেন। তাদের কিনে দেন দামি ফ্ল্যাট ও গাড়ি। শিমু রয় নামে তার আরেক ঘনিষ্ঠ নারীর নামে ৬৫ কোটি টাকা সরানো হয়। এ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য রেপটাইলস ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এ টাকা নেওয়া হয়। পূর্ণিমা রানী নামের একজনকে এমটিবি মেরিন লিমিটেড নামক কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলে দেন পিকে হালদার। হলি নামে একজনকে ৭০ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়। আরেক নারী অবন্তিকার নামে একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ঋণ দেখিয়ে ৮৪ কোটি টাকা তুলে দেন পিকে হালদার। তার বান্ধবী সুপ্তি চৌধুরীর নামেও বিপুল অর্থ সরানো হয়। তিনি গোপনে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ঋণের নাম করে শাহনাজ নামে এক নারীকে ৬০ কোটি টাকা, সুস্মিতাকে ৬২ কোটি টাকা, সামিয়া বেগমকেও প্রায় একই পরিমাণ অর্থ দেন পিকে হালদার। অনিন্দিতা মৃধা নামে এক নারীকে উইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল নামক ঠিকানাবিহীন কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ৭০ কোটি টাকা কৌশলে তুলে দেন। পিকে হালদারের সঙ্গে এই অনিন্দিতাও গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা গেছে। পিকে তার ঘনিষ্ঠ অতশীকে দেন ৮০ কোটি টাকা। এদের সবাইকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারেনি দুদক। তবে এদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএলএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলায় দুই দফায় পিকে হালদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করা হয়। তবে আর্থিক খাত থেকে আত্মীয়স্বজন চক্রের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রীয় দুটি প্রতিষ্ঠান তদন্ত করছে। তদন্ত সংস্থার অনুরোধেই ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তারা পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে পিকে হালদার, তার ভাই প্রীতিশ হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, বান্ধবী ও ঘনিষ্ঠ নারী ছাড়াও পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, মামাতো ভাই শঙ্খ ব্যাপারিসহ আত্মীয়স্বজন, বন্ধু একেএম শহীদ রেজাসহ ৮২ জনের নামে নামসর্বস্ব কোম্পানি গঠন কিংবা তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা পাচার করা হয়েছে একাধিক সংস্থার অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে।

পিকে হালদারের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের দিঘিরজান গ্রামে। গ্রেফতারের পর সেখানেও চলছে নানা আলোচনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গী অবন্তিকা-রুনাই ১৫ বান্ধবী ও ঘনিষ্ঠ নারীর নামে ৮৬৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ

আপডেট টাইম : ১০:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতারের পর দেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ জালিয়াত পিকে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) এখন ‘টপ অব দ্য কান্ট্রি’। এমনকি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির খবর ছাপিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। বিদেশে তার সম্পদের পাহাড় গড়ার খবর এখন সবার মুখে মুখে। পাশাপাশি পিকের বান্ধবী প্রীতির তথ্যও চলে এসেছে সামনে। শুধু কলকাতা বা কানাডায় সম্পদের পাহাড় নয়, দেশেও তার ১৫ বান্ধবী ও ঘনিষ্ঠ নারীদের ব্যাংক হিসাবে পাওয়া গেছে অন্তত ৮৬৭ কোটি টাকা। উপহার, গাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয়, দেশে-বিদেশে ভ্রমণসহ নানা অজুহাতে তাদের দেওয়া হয়েছে এই মোটা অঙ্কের অর্থ। পিপলস লিজিংসহ চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ নারীদের নামে-বেনামের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

দুদক সূত্র জানায়, পিকে হালদার তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে ধানমন্ডিতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকার একটি ফ্ল্যাট (বাড়ি নং-৩৯, রোড নং-১০/এ) কিনে দেন। অবন্তিকা তার আয়কর নথিতে ওই মূল্য প্রদর্শন না করে গোপন করেন। তার ব্যাংক হিসাবেও ১০ কোটি টাকার বেশি স্থানান্তর করা হয়। যা চারটি আর্থিক খাত থেকে হাতিয়ে নেন পিকে হালদার। পিকে হালদারের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে সহযোগিতা, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ গুরুতর অভিযোগে অবন্তিকা বড়ালকে অনেক আগেই গ্রেফতার করেছে দুদক।

দুদকের জালে আটকে পড়া পিকে হালদারের আরেক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নাহিদা রুনাই। রুনাই ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইন্যান্সের হেড অব বিজনেস। তার কথায় চলত ওই প্রতিষ্ঠান। তার কথায় অনেক কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণের নামে কোটি কোটি টাকা বের করে দেওয়া হয় বলে বিএফআইইউর কাছে তথ্য রয়েছে। তার নিজের হিসাবেও স্থানান্তর করা হয়েছে বিপুল অঙ্কের অর্থ। রুনাইকেও গ্রেফতার করেছে দুদক। অবন্তিকা ও রুনাই-দুজনেই এখন কারাগারে।

পিকে হালদারের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রুনাই। পাপিয়া নামক এক নারীকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালক দেখিয়ে আরেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফএস থেকে ১২০ কোটি টাকা তুলে দেন। শুভ্রা রানী নামের এক নারীকে ৮০ কোটি টাকা দেন। সুস্মিতা নামে এক নারীকে একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার দেখিয়ে ৭০ কোটি টাকা ঋণের নামে বের করে দেন পিকে হালদার। লামিয়া নামে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এক নারী সহকর্মীকে তিনি বিদেশে ঘুরতে নিয়ে যেতেন। সুন্দরী ওই তরুণী দুদকের কাছে জবানবন্দিতে তা স্বীকারও করেছেন। একইভাবে সাজিয়া রহমান নামে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আরেক সুন্দরী তরুণী সহকর্মীকে বিভিন্ন মদের পার্টিতে নিয়ে যেতেন পিকে হালদার। তিনি তার অবৈধ অর্জিত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে বান্ধবীসহ ঘনিষ্ঠদের নামে সরিয়ে নেন।

আরও জানা গেছে, কখনো ঋণের নামে, কখনো বিনোদন ভাতার নামে আবার কখনো অবৈধ টাকা আড়াল করতে পিকে হালদার বান্ধবীর নামে ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করেন। তাদের কিনে দেন দামি ফ্ল্যাট ও গাড়ি। শিমু রয় নামে তার আরেক ঘনিষ্ঠ নারীর নামে ৬৫ কোটি টাকা সরানো হয়। এ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য রেপটাইলস ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এ টাকা নেওয়া হয়। পূর্ণিমা রানী নামের একজনকে এমটিবি মেরিন লিমিটেড নামক কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলে দেন পিকে হালদার। হলি নামে একজনকে ৭০ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়। আরেক নারী অবন্তিকার নামে একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ঋণ দেখিয়ে ৮৪ কোটি টাকা তুলে দেন পিকে হালদার। তার বান্ধবী সুপ্তি চৌধুরীর নামেও বিপুল অর্থ সরানো হয়। তিনি গোপনে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ঋণের নাম করে শাহনাজ নামে এক নারীকে ৬০ কোটি টাকা, সুস্মিতাকে ৬২ কোটি টাকা, সামিয়া বেগমকেও প্রায় একই পরিমাণ অর্থ দেন পিকে হালদার। অনিন্দিতা মৃধা নামে এক নারীকে উইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল নামক ঠিকানাবিহীন কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ৭০ কোটি টাকা কৌশলে তুলে দেন। পিকে হালদারের সঙ্গে এই অনিন্দিতাও গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা গেছে। পিকে তার ঘনিষ্ঠ অতশীকে দেন ৮০ কোটি টাকা। এদের সবাইকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারেনি দুদক। তবে এদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএলএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলায় দুই দফায় পিকে হালদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করা হয়। তবে আর্থিক খাত থেকে আত্মীয়স্বজন চক্রের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রীয় দুটি প্রতিষ্ঠান তদন্ত করছে। তদন্ত সংস্থার অনুরোধেই ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তারা পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে পিকে হালদার, তার ভাই প্রীতিশ হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, বান্ধবী ও ঘনিষ্ঠ নারী ছাড়াও পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, মামাতো ভাই শঙ্খ ব্যাপারিসহ আত্মীয়স্বজন, বন্ধু একেএম শহীদ রেজাসহ ৮২ জনের নামে নামসর্বস্ব কোম্পানি গঠন কিংবা তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা পাচার করা হয়েছে একাধিক সংস্থার অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে।

পিকে হালদারের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের দিঘিরজান গ্রামে। গ্রেফতারের পর সেখানেও চলছে নানা আলোচনা।