ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচণ্ড গরমেও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক, দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৭:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২
  • ১৫১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণে বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যেও বেড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি। বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। আবার এই রোগে হঠাৎই মৃত্যুবরণ করছেন অনেকেই। জানেন কি, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি গরমেও বেড়ে যেতে পারে।

কখনো গরম আবার কখনো বৃষ্টিতে যখন তখন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার তীব্র গরমের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কোনো আগাম সঙ্কেত ছাড়াই আসে।

হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শীতকালে সাধারণত এই রোগে ঝুঁকি বেশি থাকলেও গরমে যখন তখনই হানা দিতে পারে হৃদরোগ। এর কারণ হলো হিট স্ট্রোকের ফলে হঠাৎ আপনার রক্তচাপএকমে যেতে পারে, আর তখনই ঘটতে পারে বিপত্তি!

কর্মব্যস্ত এই জীবনে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হৃদরোগের অন্যতম কারণ হতে পারে। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস তো কমবেশি সবারই আছে! এসব কারণে কমব্য়সীদের মধ্যেও বেড়ে যাচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি।

ধমনী ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনযুক্ত পরিশুদ্ধ রক্ত হৃদযন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখনই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃদযন্ত্রের ওই অংশ অকেজো হয়ে যায়।

আবার গরমে খাবার হজম করতেও বেশ অসুবিধা হয়। আবার বদহজম হলে হার্টের উপর তার প্রভাব পড়ে। তাই গরমে এ বষয়ে আরও সচেতন থাকা উচিত। দুর্ঘটনা এড়াতে কী করবেন?

প্রথমেই খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলুন। এ সময় মাছ-মাংসের পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে। শাকসব্জিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

খাদ্যতালিকায় ওটস, ব্রাউন রাইস, বিনস, মুসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন। বেশি করে পানি পান করুন। শরীরের তাপমাত্রা যাতে স্বাভাবিক থাতে সে বিষয় সতর্ক থাকুন।

ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে হবে।

নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন ও সক্রিয় থাকুন। আবার অতিরিক্ত শরীরচর্চার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এর বদলে হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম করুন।

পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুম না হলেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর যদি সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম না পায়, তাহলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো হয় না।

সেক্ষেত্রে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেশি মাত্রায় হয়। হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক।

মানসিক চাপ কমাতে হবে। না হলে হৃদরোগের ঝুঁকি তো বাড়বেই, একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, বেশি খাওয়া, ঘুমের সমস্যা, মানসিক ক্লান্তিও দেখা দেয়।

মনোসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করুন নিয়মিত। যেসব কাজ করতে ভালো লাগে, সেগুলো করুন। কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি বই পড়া কিংবা গান শোনা, ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি করুন সময় পেলেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রচণ্ড গরমেও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক, দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয়

আপডেট টাইম : ১০:১৭:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণে বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যেও বেড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি। বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। আবার এই রোগে হঠাৎই মৃত্যুবরণ করছেন অনেকেই। জানেন কি, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি গরমেও বেড়ে যেতে পারে।

কখনো গরম আবার কখনো বৃষ্টিতে যখন তখন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার তীব্র গরমের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কোনো আগাম সঙ্কেত ছাড়াই আসে।

হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শীতকালে সাধারণত এই রোগে ঝুঁকি বেশি থাকলেও গরমে যখন তখনই হানা দিতে পারে হৃদরোগ। এর কারণ হলো হিট স্ট্রোকের ফলে হঠাৎ আপনার রক্তচাপএকমে যেতে পারে, আর তখনই ঘটতে পারে বিপত্তি!

কর্মব্যস্ত এই জীবনে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হৃদরোগের অন্যতম কারণ হতে পারে। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস তো কমবেশি সবারই আছে! এসব কারণে কমব্য়সীদের মধ্যেও বেড়ে যাচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি।

ধমনী ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনযুক্ত পরিশুদ্ধ রক্ত হৃদযন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখনই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃদযন্ত্রের ওই অংশ অকেজো হয়ে যায়।

আবার গরমে খাবার হজম করতেও বেশ অসুবিধা হয়। আবার বদহজম হলে হার্টের উপর তার প্রভাব পড়ে। তাই গরমে এ বষয়ে আরও সচেতন থাকা উচিত। দুর্ঘটনা এড়াতে কী করবেন?

প্রথমেই খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলুন। এ সময় মাছ-মাংসের পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে। শাকসব্জিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

খাদ্যতালিকায় ওটস, ব্রাউন রাইস, বিনস, মুসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন। বেশি করে পানি পান করুন। শরীরের তাপমাত্রা যাতে স্বাভাবিক থাতে সে বিষয় সতর্ক থাকুন।

ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে হবে।

নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন ও সক্রিয় থাকুন। আবার অতিরিক্ত শরীরচর্চার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এর বদলে হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম করুন।

পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুম না হলেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর যদি সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম না পায়, তাহলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো হয় না।

সেক্ষেত্রে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেশি মাত্রায় হয়। হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক।

মানসিক চাপ কমাতে হবে। না হলে হৃদরোগের ঝুঁকি তো বাড়বেই, একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, বেশি খাওয়া, ঘুমের সমস্যা, মানসিক ক্লান্তিও দেখা দেয়।

মনোসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করুন নিয়মিত। যেসব কাজ করতে ভালো লাগে, সেগুলো করুন। কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি বই পড়া কিংবা গান শোনা, ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি করুন সময় পেলেই।