হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝড়ের আশঙ্কায় ক্ষেতের আধা-পাকা ধান কাটা শুরু করেছেন ভোলার কৃষকরা। কৃষি অফিসের পরামর্শে ঝড়ের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে রোববার (৮ মে) সকাল থেকে ধান কাটা শুরু করেন তারা।
এ বছর বোরো ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা রঙিন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। হঠাৎ ঝড়ের পূর্বাভাসে তা অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
বিগত সময় ঝড়ে কৃষকের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষতির মুখে যাতে এবার পড়তে না হয় সেজন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ফসল ঘরে তুলছেন তারা। কেউ ধান মাড়াই কেউবা বস্তায় ধান তোলা নিয়ে ব্যস্ত।
ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. সোহেল বলেন, আমি এ বছর ৮ গন্ডা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। এর মধ্যে ৫ গন্ডা ধান কেটে নিয়েছি, কারণ বিগত সময় ঝড়ে ধানের ক্ষতি হয়েছিল। এবার যাতে ধানের ক্ষতি না হয়, সেজন্য আগে থেকে ধান কেটে নিয়েছি। যদিও ধানের ৮০ ভাগ পেকেছে।
আরেক কৃষক ফজলু বলেন, ঝড় হবে এমন খবর পেয়ে ক্ষেতের ৪ গন্ডা জমির ধান কেটে ফেলা হয়েছে। ধানের ফলন ভালো, কিন্তু পুরোপুরি পাকেনি। তবুও কাটছি যদি ঝড়ে ক্ষতি হয়।
কৃষক আশিক বলেন, ৭ গন্ডা জমির বোরো ধান ঘরে তোলার প্রস্ততি নিয়েছি।
ভোলা সদর কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ৮০ ভাগ ধান পেকেছে, তাই এই ধান কাটলে কোনো ক্ষতি নেই। আমরা ঝড়ের আভাস পেয়ে কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানান, এ বছর জেলায় ৬৬ হাজার ৬৫৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। একদিনে ১১ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।
এদিকে আরও ৫০ হাজার হেক্টর ফসল ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তিত কৃষিবিভাগ। তবে কৃষিবিভাগ বলছে, খুব দ্রুত ধান কাটা শেষ হবে।
আগামী ১০ মে’র মধ্যে ধানসহ সব রবিশস্য ঘরে তুলতে নির্দেশ দিয়েছে কৃষিবিভাগ।