আজ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভাওয়াল বীর, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় শ্রমিকনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের এই দিনে (৭ মে) গাজীপুরের নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একদল সন্ত্রাসী আহ্সান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে।

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রয়াত এই শ্রমিকনেতার জীবন ও কর্ম নিয়ে ‘জননন্দিত শ্রমিকনেতা’ শীর্ষক একটি স্মরণিকা প্রকাশ করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ পরিবার ছাড়াও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ, আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন তার গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদ, ঢাকা, টঙ্গী, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে গাজীপুর মহানগরের হায়দরাবাদে আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, পবিত্র কোরআনখানি, গাজীপুরের সর্বত্র কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল, গণভোজ ও স্মরণিকা প্রকাশ প্রভৃতি।

এছাড়া টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টারের বাসভবন সংলগ্ন নোয়াগাঁও স্কুল মাঠে দিনব্যাপী কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও গণভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

শহিদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই জননেতা ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর চেয়ারম্যান এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আজীবন মানবসেবায় নিয়োজিত এই ভাওয়াল বীর তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালোবাসতেন। তিনি আমৃত্যু তার নিজের প্রতিষ্ঠিত নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির আহ্বায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর