রাঙ্গুনিয়ায় ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের আশা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় যেদিকে চোখ যায় মন ভরে উঠছে ইরি-বোরো সবুজ ধান গাছ থেকে সোনালী রঙ ধারণ করে ঝুলছে। এর মাঝে ভোজনের জন্য গান গেয়ে একরের পর একর জমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তুতা পাকির দল। আর দেখা যায়, কৃষকও আধাপাকা ধানের আইলের পাড়ে ভিড়ভিড় করে গান করছে মনের আনন্দে। গত বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন এবং বাজার দর ভালো পাওযায় এবারও কৃষকরা রাতদিন সমান পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাম্পার ফলনের আশায়। চলতি মেীসুমে মোটামুটি বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো থাকায় সার, ডিজেল, পানি, কীটনাশকসসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সহজেই পাওয়ায় কৃষকরা এবারেও বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মেীসুমে ইরিবোরো চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে।

উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্যারণ করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৭৪৪ হেক্টর মেট্ধিসঢ়;্রকটন। এসব ধানের মধ্যে ২জাতের ধান রয়েছে হাইব্রি ও উপসি। হাইব্রিটের মধ্যে ইস্পাহানি-২, বাালিয়া-২,চমক-১, আফতাফ এলপি-৭০, এসি ১,
সবুজ সাথী, ব্রাক হাইব্রিট- ১,১২০৩,এসি, আই- ১, তেজগোল্ড। উপসির মধ্যে ব্রি ধান, ২৮, ব্রি ধান ২৮,ব্রি-ধান ২৯, ব্রি ধান ১০০ চাষবাদ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ২য় বৃহৎতম রাঙ্গুনিয়া গুমাইবিলের কয়েকজ কৃষক জানান, গত মেীসুমে আমনের বাম্পার ফলন এবং ধান ও চালের ভালো দাম পাওয়ায় আমরা এবার ইরি-বোরো ধান রোপন করেছি। তারা আরো জানান, কৃষকের এই প্রত্যাশার সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিং। অন্য বছরের তুলনায় এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো থাকায় এবং লো-ভোল্টেজ না থাকার কারনে কৃষকরা রাত-দিন সেচযন্ত্র চালাতে পেরেছে।

তবে এপ্রিলের শুরু থেকে যেভাবে লোডশেডিং হচ্ছে তাতে ধান কাটার সময় বিপদের আশংকা করছেন কৃষকরা।রাঙ্গুনিয়া উপলোর কৃষিকর্মকর্তা জানান, সার, ডিজেল, পানি, কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ কৃষকের মাঝে সরবরাহ চলমান আছেন এবং উপজেলা তৃণমুলে থাকা কৃষকদের মাঝে। ফলে এবারও বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভবনা বেশী রয়েছে। মরিয়ম নগর গুমাই বিলের কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, জমিতে সেচ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিদিন গড়ে ১৯ থেকে ২২ ঘন্টা পেয়েছিলাম। ফলে সেচ দিতে কোন রখম অসুবিধা হয়নি। পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তারাও খোঁজ নিচ্ছেন এবং আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ চাচ্ছেন। ফলে আমরা বাম্পার ফলন গতবারের চেয়ে এবার সম্ভবনা বেশি দেখছি।

 চন্দ্রঘোনা গুমাইবিলের রহিম, জব্বার, মো: মিয়া, মো: তানবির চেীধুরীসহ একাধিক কৃষক বলেন, টানা কয়েক বছর লোকসানে থাকায় ধান চাষ বাদ দিয়ে অন্য ফসল দিকে ধাবিত হয়েছিলাম। কিন্তু গত বছর আমনের ফলন ভাল হওয়ায় বাজারে দাম পেয়েছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, মাঠ পর্য়ায়ে থাকা অসংখ্য মাঠ কর্মীদের মাধ্যমে কৃষি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যদি কোন রখম দুর্যোগ না থাকে আল্লাহর রহমতে বাম্পার ফলন হবে।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর