ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে থামলেন মাশরাফি-সাকিবরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • ১৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ম্যাচটি হতে পারতো লিগ ডিসাইডার। যেখানে থাকতো বাড়তি উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু ইমরুল কায়েসের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব আগেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলায় ম্যাচটি হয়ে গেলো নিয়মরক্ষার। যেখানে চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে উড়িয়ে দিয়েছে রানার্সআপ লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

মিরপুর শেরে ডানহাতি পেসার আল আমিন হোসেনের বোলিং তোপে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়েছে শেখ জামাল। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৫.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসানদের রূপগঞ্জ।

অবশ্য হারলেও লিগের শেষ ম্যাচ হওয়ায় এদিনই শিরোপা তুলে দেওয়া হয়েছে শেখ জামালের হাতে। ফলে হারা ম্যাচেও শিরোপা উদযাপন করতে পেরেছেন ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান সোহানরা। মাশরাফিদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রানার্সআপ হয়ে।

শেখ জামালের করা ১১৬ রানের জবাবে রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন রকিবুল হাসান। এছাড়া সাব্বির রহমান ৩৬, নাইম ইসলাম ২৩ ও ইরফান শুক্কুর করেছেন ১৪ রান। এবারের আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৫৯ রান করে থামলেন নাইম ইসলাম।

 

ম্যাচে এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পেসার আল আমিন হোসেনের রীতিমত তোপের মুখে পড়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

জাতীয় দলের সাবেক পেসার আল আমিন হোসেন যেন গ্রিষ্মের এই খরতাপে আরও আগুন ঝরালেন। তার বোলিং আগুনে পুড়ে ছারখার চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের ব্যাটিং লাইনআপ। ৮.৪ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে একাই ৬ উইকেট নিলেন আল আমিন।

তার বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় রিক্রুট চিরাগ জানি, ১ উইকেট নিলেন সাকিব আল হাসান।

শেখ জামালের হয়ে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান। প্রথম ওভারেই পরপর দুই বলে ওপেনার সৈকত আলি এবং ওয়ানডাউনে নামা জহুরুল ইসলামকে সাজঘরে ফেরান আল আমিন।

এরপর মুশফিককে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন ইমরুল। ৪৮ বলে ২৫ রান করে আউট হন মুশফিক। ৭৫ বল খেলে ৫০ রান করা ইমরুল আউট হন রানআউটে। নুরুল হাসান সোহান করেন কেবল ১৫ রান। আর কেউ দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে থামলেন মাশরাফি-সাকিবরা

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ম্যাচটি হতে পারতো লিগ ডিসাইডার। যেখানে থাকতো বাড়তি উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু ইমরুল কায়েসের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব আগেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলায় ম্যাচটি হয়ে গেলো নিয়মরক্ষার। যেখানে চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে উড়িয়ে দিয়েছে রানার্সআপ লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

মিরপুর শেরে ডানহাতি পেসার আল আমিন হোসেনের বোলিং তোপে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়েছে শেখ জামাল। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৫.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসানদের রূপগঞ্জ।

অবশ্য হারলেও লিগের শেষ ম্যাচ হওয়ায় এদিনই শিরোপা তুলে দেওয়া হয়েছে শেখ জামালের হাতে। ফলে হারা ম্যাচেও শিরোপা উদযাপন করতে পেরেছেন ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান সোহানরা। মাশরাফিদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রানার্সআপ হয়ে।

শেখ জামালের করা ১১৬ রানের জবাবে রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন রকিবুল হাসান। এছাড়া সাব্বির রহমান ৩৬, নাইম ইসলাম ২৩ ও ইরফান শুক্কুর করেছেন ১৪ রান। এবারের আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৫৯ রান করে থামলেন নাইম ইসলাম।

 

ম্যাচে এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পেসার আল আমিন হোসেনের রীতিমত তোপের মুখে পড়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

জাতীয় দলের সাবেক পেসার আল আমিন হোসেন যেন গ্রিষ্মের এই খরতাপে আরও আগুন ঝরালেন। তার বোলিং আগুনে পুড়ে ছারখার চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের ব্যাটিং লাইনআপ। ৮.৪ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে একাই ৬ উইকেট নিলেন আল আমিন।

তার বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় রিক্রুট চিরাগ জানি, ১ উইকেট নিলেন সাকিব আল হাসান।

শেখ জামালের হয়ে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান। প্রথম ওভারেই পরপর দুই বলে ওপেনার সৈকত আলি এবং ওয়ানডাউনে নামা জহুরুল ইসলামকে সাজঘরে ফেরান আল আমিন।

এরপর মুশফিককে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন ইমরুল। ৪৮ বলে ২৫ রান করে আউট হন মুশফিক। ৭৫ বল খেলে ৫০ রান করা ইমরুল আউট হন রানআউটে। নুরুল হাসান সোহান করেন কেবল ১৫ রান। আর কেউ দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি।