ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে মুসলিম খেলোয়াড়দের জন্য লিভারপুলের নিয়মে পরিবর্তন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • ১২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একদিনে চলছে পবিত্র রমজান মাস, অন্যদিকে চলছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের শেষ মুহূর্তের তুমুল ব্যস্ততা। একে তো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে লিভারপুলের চলছে ধুন্দুমার লড়াই, তারওপর দলটি এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রায় ফাইনালের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে।

এমন পরিস্থিতিতে লিভারপুল ফুটবলারদের দম ফেলার ফুরসত নেই। কিন্তু লিভারপুল ফুটবল স্কোয়াডে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মুসলিম ফুটবলার। মিসরের মোহাম্মদ সালাহ, সেনেগালের সাদিও মানে, ফ্রান্সের ইব্রাহিম কোনাটে এবং গিনিয়ান নাবি কেইতা।

শুধু মুসলিম বললে ভুল হবে, এরা ধর্মপ্রাণ মুসলিম। রমজানের রোজা রেখেই তারা অনুশীলন করতে নামেন। তবে, লিভারপুল কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ মুসলিম খেলোয়াড়দের জন্য তার দলের ট্রেনিং সিডিউলে পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন।

দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফুটবলার সাদিও মানে প্রকাশ করেছেন এই তথ্য। মুসলমানরা যেহেতু সুবহে সাদিক থেকে সন্ধ্যা মাগরিব পর্যন্ত রোজা রাখেন, সেহেতু এই সময়ে তাদেরকে বিশেষ সতর্ক অবস্থাতেই থাকতে হয়।

বিশেষ করে বিকেলের সময়। ইফতারের প্রস্তুতি, সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে হালকা ক্লান্তি- সব মিলিয়ে রোজার এই বিশেষ পরিস্থিতিটা যেন বিবেচনায় নেয়া হয়, সে জন্য মুসলিম খেলোয়াড়দের হয়ে লিভারপুলের অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

হেন্ডারসন এ নিয়ে কথা বলতেই দলের ট্রেনিং সিডিউল পরিবর্তন করতে সানন্দে রাজি হয়ে যান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। খেলোয়াড়রা আগে বিকেলে অনুশীলন করতো। এখন সিদ্ধান্ত পাল্টে অনুশীলনের সময় সকালে নেওয়া হয়েছে।

 

সংবাদমাধ্যম ‘বেইন স্পোর্টস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মানে বলেছেন, ‘খেলা, অনুশীলন ও রোজা রাখা একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে রোজা শুরুর আগে আমরা অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। সে আমাদের হয়ে কোচকে বলেছে, অনুশীলনের সূচি সকালে নিতে পারলে ভালো হয়। আমাদের (মুসলিম) জন্য তাতে কাজটা একটু সহজ হয়। সকালে অনুশীলন করলে বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু বেলা দুইটা কিংবা তিনটায় অনুশীলন করলে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। কোচ এতে রাজি হন এবং আমার মনে হয়, তাতে আমাদের সুবিধাই হয়েছে, নিজেদের সেরাটা দিতে পারছি।’

সাদিও মানেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ম্যাচের দিন কিভাবে তারা রোজা রাখেন। বিষয়টা কিভাবে তারা সামলান? জবাবে মানে বলেন, ‘এটা খুব সহজ কাজ নয়। তবে, অন্যদিনগুলোর মতো ম্যাচের দিনটা একটা ভিন্ন তো হয়ই। রমজানে এসব কিছুই খুব কঠিন হয়ে যায়। তবে লিভারপুল আমাদের মুসলিম খেলোয়াড়দের জন্য অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছে।’

এসবই মানে বলছিলেন ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচের আগে। ম্যাচে লিভারপুল জিতেছে ২-০ গোলে এবং মানে নিজেও করেছেন একটি গোল।

লিভারপুলে বুধবার সূর্য উঠেছে ৬টার একটু আগে এবং সূর্য ডুবেছে ৮টা ৩০ এর দিকে। এর অর্থ হলো ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধের আগে রোজা ভাঙার কোনো উপায় ছিল না মানে-সালাহদের।

মোহাম্মদ সালাহ এবং ইব্রাহিম কোনাতে খেলেছেন পুরো ম্যাচই। ৭৩ মিনিটে সাদিও মানেকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ ক্লপ। আর নাবি কেইতা হেন্ডারসনের পরিবর্তে মাঠে নেমেছে খেলেছেন শেষ ২০ মিনিট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রমজানে মুসলিম খেলোয়াড়দের জন্য লিভারপুলের নিয়মে পরিবর্তন

আপডেট টাইম : ০৫:০৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একদিনে চলছে পবিত্র রমজান মাস, অন্যদিকে চলছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের শেষ মুহূর্তের তুমুল ব্যস্ততা। একে তো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে লিভারপুলের চলছে ধুন্দুমার লড়াই, তারওপর দলটি এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রায় ফাইনালের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে।

এমন পরিস্থিতিতে লিভারপুল ফুটবলারদের দম ফেলার ফুরসত নেই। কিন্তু লিভারপুল ফুটবল স্কোয়াডে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মুসলিম ফুটবলার। মিসরের মোহাম্মদ সালাহ, সেনেগালের সাদিও মানে, ফ্রান্সের ইব্রাহিম কোনাটে এবং গিনিয়ান নাবি কেইতা।

শুধু মুসলিম বললে ভুল হবে, এরা ধর্মপ্রাণ মুসলিম। রমজানের রোজা রেখেই তারা অনুশীলন করতে নামেন। তবে, লিভারপুল কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ মুসলিম খেলোয়াড়দের জন্য তার দলের ট্রেনিং সিডিউলে পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন।

দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফুটবলার সাদিও মানে প্রকাশ করেছেন এই তথ্য। মুসলমানরা যেহেতু সুবহে সাদিক থেকে সন্ধ্যা মাগরিব পর্যন্ত রোজা রাখেন, সেহেতু এই সময়ে তাদেরকে বিশেষ সতর্ক অবস্থাতেই থাকতে হয়।

বিশেষ করে বিকেলের সময়। ইফতারের প্রস্তুতি, সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে হালকা ক্লান্তি- সব মিলিয়ে রোজার এই বিশেষ পরিস্থিতিটা যেন বিবেচনায় নেয়া হয়, সে জন্য মুসলিম খেলোয়াড়দের হয়ে লিভারপুলের অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

হেন্ডারসন এ নিয়ে কথা বলতেই দলের ট্রেনিং সিডিউল পরিবর্তন করতে সানন্দে রাজি হয়ে যান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। খেলোয়াড়রা আগে বিকেলে অনুশীলন করতো। এখন সিদ্ধান্ত পাল্টে অনুশীলনের সময় সকালে নেওয়া হয়েছে।

 

সংবাদমাধ্যম ‘বেইন স্পোর্টস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মানে বলেছেন, ‘খেলা, অনুশীলন ও রোজা রাখা একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে রোজা শুরুর আগে আমরা অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। সে আমাদের হয়ে কোচকে বলেছে, অনুশীলনের সূচি সকালে নিতে পারলে ভালো হয়। আমাদের (মুসলিম) জন্য তাতে কাজটা একটু সহজ হয়। সকালে অনুশীলন করলে বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু বেলা দুইটা কিংবা তিনটায় অনুশীলন করলে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। কোচ এতে রাজি হন এবং আমার মনে হয়, তাতে আমাদের সুবিধাই হয়েছে, নিজেদের সেরাটা দিতে পারছি।’

সাদিও মানেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ম্যাচের দিন কিভাবে তারা রোজা রাখেন। বিষয়টা কিভাবে তারা সামলান? জবাবে মানে বলেন, ‘এটা খুব সহজ কাজ নয়। তবে, অন্যদিনগুলোর মতো ম্যাচের দিনটা একটা ভিন্ন তো হয়ই। রমজানে এসব কিছুই খুব কঠিন হয়ে যায়। তবে লিভারপুল আমাদের মুসলিম খেলোয়াড়দের জন্য অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছে।’

এসবই মানে বলছিলেন ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচের আগে। ম্যাচে লিভারপুল জিতেছে ২-০ গোলে এবং মানে নিজেও করেছেন একটি গোল।

লিভারপুলে বুধবার সূর্য উঠেছে ৬টার একটু আগে এবং সূর্য ডুবেছে ৮টা ৩০ এর দিকে। এর অর্থ হলো ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধের আগে রোজা ভাঙার কোনো উপায় ছিল না মানে-সালাহদের।

মোহাম্মদ সালাহ এবং ইব্রাহিম কোনাতে খেলেছেন পুরো ম্যাচই। ৭৩ মিনিটে সাদিও মানেকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ ক্লপ। আর নাবি কেইতা হেন্ডারসনের পরিবর্তে মাঠে নেমেছে খেলেছেন শেষ ২০ মিনিট।