মিঠামইনে উপজেলা চেয়ারম্যানের সই-সিল জাল করে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন, কারাদণ্ড

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলমের সই ও সীল জাল করে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের অপরাধে শফিক মিয়া (২৮) নামে এক প্রতারককে ২০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন তার কার্যালয়ে এ ভ্রাম্যমাণ পরিচালনা করেন।

কারাদণ্ডে দণ্ডিত প্রতারক শফিক মিয়া উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের ঢাকী মুন্সিহাটির মেরাজ মিয়ার ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অষ্টগ্রাম-মিঠামইন-ইটনা অলওয়েদার সড়ক নির্মাণের সময় সড়কের জন্য যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের সে ভূমির ক্ষতিপুরণ বাবদ মূল্য দিচ্ছেন।

এজন্যে নির্ধারিত আবেদন পূরণ করতে হয়। সেই আবেদনের কলামে শনাক্তকারী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর প্রায়োজন হয়।

কিন্তু একটি প্রতারক চক্র উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট না গিয়ে জাল সিল ও স্বাক্ষর তৈরি করে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে।

এছাড়া আরও ১৫ জনের নিকট থেকে সিল ও সই বিক্রি করে জনপতি ২০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে।

এই চক্রের তিনজন সদস্য রয়েছে। তারা হচ্ছে, মো. সাহাদত হোসেন সাজু (৩৫), শফিক মিয়া (২৮) ও পোকা মিয়া (৩০)। শফিক মিয়া ও পোকা মিয়ার বাড়ি ঢাকী বড়হাটিতে।

তাদের মধ্যে শফিক মিয়া মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) মিঠামইন উপজেলা সদরে এলে তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় ইউএনও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে শফিক মিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সই ও সীল জাল করে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়।

শফিক মিয়া স্বীকারোক্তি দেয়ায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ ধরণের প্রতারণার ঘটনার সাথে এল,এ শাখার যোগসাজশ রয়েছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় এল,এ অফিস জড়িত কি-না খতিয়ে দেখা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর