ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের জন্য সহজ সমাধান নেওয়ার পরামর্শ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • ১২৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের প্রতিকারের জন্য নিজ থেকেই সহজ উপায় অবলম্বন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন শ্রম অধ্যুষিত পেনাং রাজ্যের  উপমুখ্যমন্ত্রী পি রামাসামি। মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানকে উদ্দেশে করে বলেন, জোরজবরদস্তি শ্রম সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে (আইএলও) দায়িত্ব না দিয়ে নিজেদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রম ইস্যুটি সম্প্রতি খুব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আমেরিকা দূতাবাস বা আইএলও-এর  মালয়েশিয়ায়  শ্রম চর্চার বিষয়ে তদন্ত করা বা হস্তক্ষেপ করা নয়, এটি মূলত মালয়েশিয়ার সরকার ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তিনি বলেন জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগ দূর করার জন্য বিদেশী বা আন্তর্জাতিক সংস্থার উপর নির্ভর করা খুব ভালো কিছু হবে না। ২৩ এপ্রিল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ” মন্ত্রী সরভানানের উচিত কেন জোরপূর্বক শ্রম বিদ্যমান তা খুঁজে বের করা।”

সারাভানান বলেন, যখন বেশ কিছু মালয়েশিয়ার পণ্য মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) এজেন্সি দ্বারা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে বাধ্যতামূলক শ্রমের অভিযোগের কারণে, তবে মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো প্রতিবেদন পায়নি, ফলে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রামাসামি  বলছেন, মার্কিন দূতাবাস এবং আইএলওর কাছে সহায়তা চাওয়ায় এই ইঙ্গিত দেয় যে, জোরপূর্বক শ্রমের ইস্যুটি পদ্ধতিগতভাবে তদন্ত করার জন্য নিজ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রীর প্রশাসনিক ক্ষমতার অভাব রয়েছে।

মন্ত্রণালয় মনে করে জোরপূর্বক শ্রম এমন কিছু যা কার্যকর প্রয়োগকারী পদক্ষেপের সাথে নিয়োগকারীদের মনোভাব পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্মূল করা যেতে পারে।

এদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে সারাভানানের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কুয়ালালামপুরে মার্কিন দূতাবাস ২২ এপ্রিল বলেছে যে, তারা জোরপূর্বক শ্রম সংক্রান্ত বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে।

এদিকে জোরজবরদস্তি শ্রম এবং মানবপাচারের চলমান  অভিযোগের মধ্যেই নতুন করে শ্রম নিয়োগের জন্য বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ চুক্তি সম্পন্ন হলেও অদ্যাবধি মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করেনি। মালয়েশিয়া সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ একাধিকবার বলেছেন যে, মালয়েশিয়া ২০০৬/৭ সালের মতো অতিরিক্ত বাংলাদেশি কর্মী এনে  ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে চায়না। এবার কর্মী প্রেরণ ও নিয়োগে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি এবং নিয়োগকর্তা সঠিক দায় দায়িত্ব পালনের দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে করোনা পরিস্থিতি বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন মুশকিল মাত্রা যোগ করেছে; যা নিয়োগকর্তাদের অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। পক্ষান্তরে অতীতের ধারাবাহিকতায়  এই খরচ কর্মীদের নিকট থেকে আদায় করা হবে না এর নিশ্চয়তা নেই। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির কোনো সঠিক তথ্য বাংলাদেশ বা মালয়েশিয়া পক্ষ থেকে জানা যায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের জন্য সহজ সমাধান নেওয়ার পরামর্শ

আপডেট টাইম : ১০:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের প্রতিকারের জন্য নিজ থেকেই সহজ উপায় অবলম্বন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন শ্রম অধ্যুষিত পেনাং রাজ্যের  উপমুখ্যমন্ত্রী পি রামাসামি। মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানকে উদ্দেশে করে বলেন, জোরজবরদস্তি শ্রম সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে (আইএলও) দায়িত্ব না দিয়ে নিজেদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রম ইস্যুটি সম্প্রতি খুব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আমেরিকা দূতাবাস বা আইএলও-এর  মালয়েশিয়ায়  শ্রম চর্চার বিষয়ে তদন্ত করা বা হস্তক্ষেপ করা নয়, এটি মূলত মালয়েশিয়ার সরকার ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তিনি বলেন জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগ দূর করার জন্য বিদেশী বা আন্তর্জাতিক সংস্থার উপর নির্ভর করা খুব ভালো কিছু হবে না। ২৩ এপ্রিল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ” মন্ত্রী সরভানানের উচিত কেন জোরপূর্বক শ্রম বিদ্যমান তা খুঁজে বের করা।”

সারাভানান বলেন, যখন বেশ কিছু মালয়েশিয়ার পণ্য মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) এজেন্সি দ্বারা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে বাধ্যতামূলক শ্রমের অভিযোগের কারণে, তবে মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো প্রতিবেদন পায়নি, ফলে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রামাসামি  বলছেন, মার্কিন দূতাবাস এবং আইএলওর কাছে সহায়তা চাওয়ায় এই ইঙ্গিত দেয় যে, জোরপূর্বক শ্রমের ইস্যুটি পদ্ধতিগতভাবে তদন্ত করার জন্য নিজ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রীর প্রশাসনিক ক্ষমতার অভাব রয়েছে।

মন্ত্রণালয় মনে করে জোরপূর্বক শ্রম এমন কিছু যা কার্যকর প্রয়োগকারী পদক্ষেপের সাথে নিয়োগকারীদের মনোভাব পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্মূল করা যেতে পারে।

এদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে সারাভানানের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কুয়ালালামপুরে মার্কিন দূতাবাস ২২ এপ্রিল বলেছে যে, তারা জোরপূর্বক শ্রম সংক্রান্ত বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে।

এদিকে জোরজবরদস্তি শ্রম এবং মানবপাচারের চলমান  অভিযোগের মধ্যেই নতুন করে শ্রম নিয়োগের জন্য বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ চুক্তি সম্পন্ন হলেও অদ্যাবধি মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করেনি। মালয়েশিয়া সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ একাধিকবার বলেছেন যে, মালয়েশিয়া ২০০৬/৭ সালের মতো অতিরিক্ত বাংলাদেশি কর্মী এনে  ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে চায়না। এবার কর্মী প্রেরণ ও নিয়োগে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি এবং নিয়োগকর্তা সঠিক দায় দায়িত্ব পালনের দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে করোনা পরিস্থিতি বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন মুশকিল মাত্রা যোগ করেছে; যা নিয়োগকর্তাদের অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। পক্ষান্তরে অতীতের ধারাবাহিকতায়  এই খরচ কর্মীদের নিকট থেকে আদায় করা হবে না এর নিশ্চয়তা নেই। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির কোনো সঠিক তথ্য বাংলাদেশ বা মালয়েশিয়া পক্ষ থেকে জানা যায়নি।