হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৮.২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টর ডানপন্থি নেত্রী মেরি লে পেন পেয়েছেন ৪১.৮ শতাংশ ভোট। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। ফ্রান্স ২৪ এর খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইফেল টাওয়ারের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন ম্যাখোঁ। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি তার সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
এদিকে নির্বাচনে হেরে যাওয়া মেরি লে পেন ইতিমধ্যে তার সমর্থকদের উদ্দেশে এক বক্তৃতা দিয়েছেন। এতে তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, যে কোনো অবস্থাতে ফ্রান্স ও জনগণের সঙ্গে থাকবেন তিনি। ম্যাখোঁ-পেন দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এর আগে ২০১৭ সালের নির্বাচনেও এই দুই প্রার্থী লড়াই করেছিলেন। তবে সেবারও শেষ হাসি হেসেছিলেন মধ্যপন্থি ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।
ম্যাখোঁর জয়ে ইউরোপের নেতারা অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন। ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিচেল টুইটারে লিখেছেন, আমরা আরও পাঁচ বছরের জন্য ফ্রান্সকে গোনায় ধরতে পারি। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ ফ্রান্সে ম্যাখোঁর জয়কে ইউরোপে একটি শক্তিশালী বার্তা বলে আখ্যায়িত করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, আমি খুশি যে, তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা আমাদের চমৎকার সহযোগিতা চালিয়ে যাব।
ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডার লেয়েন টুইটারে লিখেছেন, আমাদের চমৎকার সহযোগিতা জারি রাখা যাবে বলে আমি আনন্দিত। একসঙ্গে মিলে আমরা ফ্রান্স ও ইউরোপকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফ্রান্সের প্রসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে দেশটিকে সবচেয়ে কাছের মিত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, দুই দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। তাছাড়া বেলজিয়াম, ইতালি, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধানরাও ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।