হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রয়াত ক্রিকেটার মোশাররফ রুবেলের কবরকে স্থায়ী করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছিলেন তার সহধর্মিণী চৈতি ফারহানা রূপা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রূপা বলেছিলেন, আমার রুবেলের জন্য কি একটু মাটি তিনি দেবেন না? তাদের একমাত্র ছেলের কথা ভেবে হলেও যেন প্রধানমন্ত্রী সুদৃষ্টি কামনা করেন রূপা।
এছাড়া সংবাদমাধ্যমে রুবেলের কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ঢাকা উত্তরের মেয়রের কাছে মৌখিকভাবে আবেদন জানান রূপা।
রূপার সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। রুবেলের কবরটি মানবিক বিবেচনায় স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
রোববার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম এই মুহূর্তে পবিত্র ওমরাহ পালনে মক্কায় অবস্থান করছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে আবেদনটি জেনে কবরটি সংরক্ষণ করতে এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ ক্রিকেটারের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মোশাররফ হোসেন রুবেল নিজের জন্য খেলেনি, দেশের জন্য খেলেছেন। তার অবদান দেশের মানুষকে গর্বিত করেছে। সে কারণে তার কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করছি। যে মানুষটি বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছেন সে মানুষটি চিরবিদায়ের বেলায় এক টুকরো মাটি পাবে না, তা হতে পারে না।
পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরে বিধিমোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ক্রিকেটার রুবেলের কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে গত ১৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ রুবেল।
রুবেলকে সমাহিত করা হয়েছে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী, দুই বছরের বেশি স্থায়ী হয় না কবর। একই কবরে অন্য মরদেহ সমাহিত করা হয়।
তবে মেয়রের নির্দেশে রুবেলের কবর সংরক্ষিত থাকবে।