মঙ্গলবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তারা এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছেন কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিতাই চন্দ্র সরকার।
রিমান্ডে নেয়া দুই আসামি হলেনÑ নৌকার মাঝি শরীফ ও ফারুক।
তদন্তকারী কর্মকর্তা নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তারা দুজনই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। ইচ্ছে করলে এর উপর ভিত্তি করেই অভিযোগপত্র দাখিল সম্ভব। কিন্তু আমরা এখনই সেদিকে না গিয়ে পলাতক আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গত ২৫ মে রাতে কালীগঞ্জের সাওদাইরঘাটে গণধর্ষণের ঘটনায় ২৮ মে মামলা করা হয়। যার বাদী গণধর্ষিতা নিজেই। মামলার আসামি দুই নং আসামি ফারুক ও তিন নং আসামি শরীফকে ২৮ মে রাতেই নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় নাম উল্লেখ করে আরও দুজনকে আসামি করা হয়।
তারা হলেনÑ ফাহিম ও আলামিন।
২৫ মে রাতে কর্মস্থল বাগপাড়া, পলাশ নরসিংদী থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে গাজীপুর কালীগঞ্জের নাগরানা এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন এ নারী।
মামলার বিবরণ অনুযায়ীÑ নৌকা থেকে কালীগঞ্জ থানাধীন সাওরাইদ ঘাটে নামার সময় দুজন তাকে আটকে মোক্তারপুরে একটি নৌকার ভেতর ধর্ষণ করে। এ রাতেই দুই ধর্ষক তাকে তুলে দেয় আরো দুজনের কাছে। তারাও তাকে ধর্ষণ করে পালাক্রমে। সেদিন ভোর চারটায় ফকিরবাড়ি ঘাটে নামিয়ে দেয় ধর্ষকরা। সেখান থেকে রিকশাযোগে তিনি যান বোন নাসিমার বাড়ি সুলতানপুরে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।