হাওর বার্তা ডেস্কঃ সব ছায়াছবির শুরুতেই দেখা যায় সতর্কবার্তা হিসেবে লেখা থাকে ‘ধূমপান ক্যান্সারের কারণ’। এছাড়াও সিগারেটের প্যাকেটেও এই কথাটি লেখা থাকে। কিন্তু জানেন কি শুধু ক্যান্সার নয় ধূমপান ডেকে আনতে পারে বন্ধ্যত্বও!
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষ ও নারী উভয়ের শরীরেই ধূমপান এমন কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলে যা সন্তানধারণের ক্ষেত্রে হয়ে উঠতে পারে প্রতিবন্ধক।
পুরুষদের ক্ষেত্রে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে যারা ধূমপান করেন, তাদের সংখ্যা প্রায় ৪৬ শতাংশ। অপর একটি পরিসংখ্যান অনুসারে, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদের মধ্যে কেবল ২২ শতাংশ মানুষ যৌন স্বাস্থ্যের উপর ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবগত।
নিয়মিত ধূমপানের ফলে বীর্য উৎপাদনের সময় প্রদাহ দেখা দিতে পারে, ফলে শুক্রাণু দুর্বল হয়।
বিড়ি বা সিগারেটে বিভিন্ন রকমের ‘কারসিনোজেন’ ও ‘মিউটাজেনিক’ পদার্থ থাকে যা শুক্রাণুর ক্ষতি করে। এই উপাদানগুলো জিনগত ভাবেও শুক্রাণুর ক্ষতি করে।
ধূমপানের ফলে শরীরে ক্যাডমিয়াম ও জিঙ্কের মতো ক্ষতিকর ধাতু প্রবেশ করে। এই ধাতুগুলো শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদের লিঙ্গ শিথিলতার আশঙ্কা, ধূমপান করেন না এমন ব্যক্তির তুলনায় দ্বিগুণ।
নারীদের ক্ষেত্রে
সন্তানধারণে ইচ্ছুক নারীদের ক্ষেত্রেও ধূমপান ক্ষতিকর হতে পারে।
ধূমপান গর্ভাশয় বহির্ভূত গর্ভাবস্থা বা ‘এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি’র ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ডিম্বাণু ও ডিম্বাশয়ের ক্ষতি করে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ধূমপান করলে অবাঞ্ছিত গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।