ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাকের অ্যালার্জি হওয়ার লক্ষণ ও করণীয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৪৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাধারণত শীতের শুরুতে এবং শেষের দিকে অ্যালার্জি জনিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে গরমের সময়েও তাপমাত্রার তারতম্য ও ধুলাবালির কারণেও অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যা খুবই বিরক্তিকর।

অ্যালার্জি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নাকের অ্যালার্জি তারমধ্যে অন্যতম। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা নাকের অ্যালার্জি হচ্ছে অ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ। ধুলাবালি, ধোঁয়া, কিছু ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জীবাণু, ঠান্ডা-গরমসহ বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদান এর কারণ।

এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট, নাক, কান, গলা রোগ বিভাগের ডা. আলমগীর মো. সোয়েব।

পরিবেশদূষণ যত বাড়ছে অ্যালার্জিজনিত এ সমস্যাগুলো ততই বাড়ছে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও এটা বেড়ে যেতে পারে। এটা সাধারণত বংশগতভাবে মা-বাবার কাছ থেকে সন্তানদের মধ্যে আসতে পারে। তবে অনেক সময় পেশা ও পরিবেশগত কারণেও এটা হতে পারে।

উপসর্গ

অনবরত বা অনিয়ন্ত্রিত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারো কারো আবার চোখ দিয়ে পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ চুলকায়, এ ছাড়া আরো অনেক উপসর্গও দেখা দেয়। এতে শরীরে ক্লান্তি ভাব চলে আসে। কখনো কখনো মাথা ব্যথা, মাথা ভার ভার লাগা, কান বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে।

নিয়ন্ত্রণের উপায়

ঠান্ডা খাবেন না, ঠান্ডা লাগাবেন না।

কুসুম গরম পানিতে গোসল ও অজু করুন। শীতকালে কুসুম গরম পানি পান করুন।

ফ্রিজের ঠান্ডা পানীয়, বরফ আর আইসক্রিম খাওয়া যাবে না।

ঘরের বাইরে বের হলে কিংবা ধুলাবালিময় পরিবেশে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।

দিনে এক থেকে দুইবার গরম পানির ভাপ নাক দিয়ে টানুন ও মুখ দিয়ে ছাড়ুন।

সর্দি-ঠান্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ সাময়িকভাবে এড়িয়ে চলুন।

বেশি গরমে কাজ করবেন না কিংবা একসঙ্গে টানা বেশি পরিশ্রম করবেন না।

নির্দিষ্ট কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেই খাবার পরিহার করুন।

ঘরের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না। বিছানার চাদর, পর্দা, মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।

ঘরের চারপাশ খোলামেলা রাখুন ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ পরিহার করুন।

সর্দি, হাঁচি, কাশির সঙ্গে সঙ্গে কান ও মাথাব্যথা হলে দ্রুত কোনো একজন নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

নাকের অ্যালার্জি হওয়ার লক্ষণ ও করণীয়

আপডেট টাইম : ১০:১৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাধারণত শীতের শুরুতে এবং শেষের দিকে অ্যালার্জি জনিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে গরমের সময়েও তাপমাত্রার তারতম্য ও ধুলাবালির কারণেও অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যা খুবই বিরক্তিকর।

অ্যালার্জি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নাকের অ্যালার্জি তারমধ্যে অন্যতম। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা নাকের অ্যালার্জি হচ্ছে অ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ। ধুলাবালি, ধোঁয়া, কিছু ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জীবাণু, ঠান্ডা-গরমসহ বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদান এর কারণ।

এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট, নাক, কান, গলা রোগ বিভাগের ডা. আলমগীর মো. সোয়েব।

পরিবেশদূষণ যত বাড়ছে অ্যালার্জিজনিত এ সমস্যাগুলো ততই বাড়ছে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও এটা বেড়ে যেতে পারে। এটা সাধারণত বংশগতভাবে মা-বাবার কাছ থেকে সন্তানদের মধ্যে আসতে পারে। তবে অনেক সময় পেশা ও পরিবেশগত কারণেও এটা হতে পারে।

উপসর্গ

অনবরত বা অনিয়ন্ত্রিত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারো কারো আবার চোখ দিয়ে পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ চুলকায়, এ ছাড়া আরো অনেক উপসর্গও দেখা দেয়। এতে শরীরে ক্লান্তি ভাব চলে আসে। কখনো কখনো মাথা ব্যথা, মাথা ভার ভার লাগা, কান বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে।

নিয়ন্ত্রণের উপায়

ঠান্ডা খাবেন না, ঠান্ডা লাগাবেন না।

কুসুম গরম পানিতে গোসল ও অজু করুন। শীতকালে কুসুম গরম পানি পান করুন।

ফ্রিজের ঠান্ডা পানীয়, বরফ আর আইসক্রিম খাওয়া যাবে না।

ঘরের বাইরে বের হলে কিংবা ধুলাবালিময় পরিবেশে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।

দিনে এক থেকে দুইবার গরম পানির ভাপ নাক দিয়ে টানুন ও মুখ দিয়ে ছাড়ুন।

সর্দি-ঠান্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ সাময়িকভাবে এড়িয়ে চলুন।

বেশি গরমে কাজ করবেন না কিংবা একসঙ্গে টানা বেশি পরিশ্রম করবেন না।

নির্দিষ্ট কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেই খাবার পরিহার করুন।

ঘরের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না। বিছানার চাদর, পর্দা, মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।

ঘরের চারপাশ খোলামেলা রাখুন ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ পরিহার করুন।

সর্দি, হাঁচি, কাশির সঙ্গে সঙ্গে কান ও মাথাব্যথা হলে দ্রুত কোনো একজন নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।