ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যমুনায় পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেছে বোরো ধান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৬
  • ৪৭৭ বার

গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে বালাসি ঘাট এলাকার প্রায় ২২ হেক্টর জমির (বর্ষালি) বোরো ধান।

ডুবে যাওয়া কাঁচা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। আবার সময়মতো দিনমজুর না পাওয়ায় কেউ কেউ তলিয়ে যাওয়া ধান কাটতেও পারছেন না। অনেকে কাঁচা ও আধাপাকা ধান কাটছেন না, কারণ কাটতে যা খরচ হবে খেত মজুরের খরচ দিয়ে লোকসান গুণতে হবে। ধানগুলো পাকা হলে কিছুটা হলেও লাভ হতো।

কৃষকরা জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি এবং বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় এ ক্ষতি তারা কোনভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন না। অনেক কৃষক এ ধান কেটে গরুকে খাওয়াতে শুরু করেছেন।

ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা ও আধাপাকা বোরো ধানের খেত তলিয়ে গেছে। কৃষকরা অনেক কষ্ট করে ডুবে থাকা ধানগুলো কাটছেন। খেত মজুর নিয়ে কাঁচা ধান কেটে কী লাভ? তাই অনেকেই ধান কাটার আশা ছেড়ে দিয়েছেন।

ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহাজুল ইসলাম জানান, ফুলছড়ি উপজেলায় ৭০টি চর আছে এবং এ জমির পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৭০ হেক্টর। যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী বেষ্টিত হওয়ায় বোরো ধানের চাষ করার উপযোগী প্রায় ৩৮০ হেক্টর জমি।

এ সব জমিতে শুকনো মৌসুমে পানি শুকানোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বোরো ধান লাগান কৃষকরা। নদীর পানি কমতে থাকায় ধানের চারা শিকড় গাজাতে শুরু করে। কিন্তু এ সব জমির ফসলের কোন নিশ্চয়তা নেই। আগাম বন্যা বা অতি বৃষ্টির ফলে যে কোন মহুর্তে এ সব জমির ফসল তলিয়ে যেতে পারে। এবার যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক কৃষকের ধান তলিয়ে গেছে বলে আমি শুনেছি। তবে কত হেক্টর জমি এখন পানির নিচে তা এখনো সঠিক ভাবে জানা যায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যমুনায় পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেছে বোরো ধান

আপডেট টাইম : ১১:২৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৬

গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে বালাসি ঘাট এলাকার প্রায় ২২ হেক্টর জমির (বর্ষালি) বোরো ধান।

ডুবে যাওয়া কাঁচা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। আবার সময়মতো দিনমজুর না পাওয়ায় কেউ কেউ তলিয়ে যাওয়া ধান কাটতেও পারছেন না। অনেকে কাঁচা ও আধাপাকা ধান কাটছেন না, কারণ কাটতে যা খরচ হবে খেত মজুরের খরচ দিয়ে লোকসান গুণতে হবে। ধানগুলো পাকা হলে কিছুটা হলেও লাভ হতো।

কৃষকরা জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি এবং বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় এ ক্ষতি তারা কোনভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন না। অনেক কৃষক এ ধান কেটে গরুকে খাওয়াতে শুরু করেছেন।

ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা ও আধাপাকা বোরো ধানের খেত তলিয়ে গেছে। কৃষকরা অনেক কষ্ট করে ডুবে থাকা ধানগুলো কাটছেন। খেত মজুর নিয়ে কাঁচা ধান কেটে কী লাভ? তাই অনেকেই ধান কাটার আশা ছেড়ে দিয়েছেন।

ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহাজুল ইসলাম জানান, ফুলছড়ি উপজেলায় ৭০টি চর আছে এবং এ জমির পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৭০ হেক্টর। যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী বেষ্টিত হওয়ায় বোরো ধানের চাষ করার উপযোগী প্রায় ৩৮০ হেক্টর জমি।

এ সব জমিতে শুকনো মৌসুমে পানি শুকানোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বোরো ধান লাগান কৃষকরা। নদীর পানি কমতে থাকায় ধানের চারা শিকড় গাজাতে শুরু করে। কিন্তু এ সব জমির ফসলের কোন নিশ্চয়তা নেই। আগাম বন্যা বা অতি বৃষ্টির ফলে যে কোন মহুর্তে এ সব জমির ফসল তলিয়ে যেতে পারে। এবার যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক কৃষকের ধান তলিয়ে গেছে বলে আমি শুনেছি। তবে কত হেক্টর জমি এখন পানির নিচে তা এখনো সঠিক ভাবে জানা যায়নি।