ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হৃদরোগের ঝুঁকি আছে কি না বহু আগেই জানান দেবে যে দুটি পরীক্ষা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ১৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেহে নানা রকম রোগ বাসা বাঁধে। এমন অনেক কঠিন রোগও আছে যা মৃত্যু ঘটায়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে হৃদরোগ। খেয়াল করলেই দেখবেন, বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে।

অনেকেই মনে করেন যে, বয়সের সঙ্গে বোধহয় হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তবে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা কিন্তু সে ধারণাকে ভুল প্রমান করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আজকাল অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। ইতোমধ্যে অল্প বয়সে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণও হারিয়েছেন।

ধমনীতে বাধার কারণে যখন হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়, মূলত তখনই হৃদযন্ত্রের এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। কেউ যদি উচ্চ কোলেস্টেরল বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন, তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।

ডায়াবেটিস শনাক্তকরণের জন্য যেমন রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে, তেমনই আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন কিনা তার পূর্বাভাসও আপনি পেতে পারেন বহু আগে থেকেই। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-

সিআরপি (সি-রিঅ্যাকশন প্রোটিন) পরীক্ষার দ্বারা। লন্ডনের ‘ন্যাশনাল হার্ট অ্যান্ড লাং ইনস্টিটিউট’-এর বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন। ‘সিআরপি’ এক ধরনের প্রোটিন। হার্ট অ্যাটাকের পর রক্তে যার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মূলত রক্তে এই প্রোটিন বৃদ্ধি পেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এই ‘সিআরপি’ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় বছর তিনেক আগে থেকে জেনে নেয়া সম্ভব যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না। থাকলেও তা কতটা।

‘সিআরপি’-এর মাত্রা সাধারণত ২ মিলিগ্রাম বা তার নিচে থাকা স্বাভাবিক। তবে এর মাত্রা যদি ১০-১৫ মিলিগ্রাম থাকে, তাহলে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

‘সিআরপি’ ছাড়াও আরও একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় বছর খানেক আগে থেকে বুঝতে পারবেন যে, পরবর্তীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না।

শরীরের প্রায় অনেক রোগের পূর্ব লক্ষণ দেখা দেয় চোখে। হৃদরোগের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। চোখে রেটিনার চরিত্র, আচার-আচরণ দেখে অনেক আগেই হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এই অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে গুগলের আট সদস্যের একটি গবেষক দল। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা বোঝার প্রাথমিক উপায় হিসেবে চিকিৎসকরা বহু দিন ধরেই রেটিনা পরীক্ষা করে আসছেন। রেটিনার ধমনীতে একটুও বদল চোখে পড়লে তা হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস হতে পারে। এছাড়াও কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক ভাবে রেটিনা পরীক্ষার চল রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হৃদরোগের ঝুঁকি আছে কি না বহু আগেই জানান দেবে যে দুটি পরীক্ষা

আপডেট টাইম : ১০:০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেহে নানা রকম রোগ বাসা বাঁধে। এমন অনেক কঠিন রোগও আছে যা মৃত্যু ঘটায়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে হৃদরোগ। খেয়াল করলেই দেখবেন, বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে।

অনেকেই মনে করেন যে, বয়সের সঙ্গে বোধহয় হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তবে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা কিন্তু সে ধারণাকে ভুল প্রমান করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আজকাল অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। ইতোমধ্যে অল্প বয়সে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণও হারিয়েছেন।

ধমনীতে বাধার কারণে যখন হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়, মূলত তখনই হৃদযন্ত্রের এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। কেউ যদি উচ্চ কোলেস্টেরল বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন, তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।

ডায়াবেটিস শনাক্তকরণের জন্য যেমন রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে, তেমনই আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন কিনা তার পূর্বাভাসও আপনি পেতে পারেন বহু আগে থেকেই। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-

সিআরপি (সি-রিঅ্যাকশন প্রোটিন) পরীক্ষার দ্বারা। লন্ডনের ‘ন্যাশনাল হার্ট অ্যান্ড লাং ইনস্টিটিউট’-এর বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন। ‘সিআরপি’ এক ধরনের প্রোটিন। হার্ট অ্যাটাকের পর রক্তে যার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মূলত রক্তে এই প্রোটিন বৃদ্ধি পেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এই ‘সিআরপি’ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় বছর তিনেক আগে থেকে জেনে নেয়া সম্ভব যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না। থাকলেও তা কতটা।

‘সিআরপি’-এর মাত্রা সাধারণত ২ মিলিগ্রাম বা তার নিচে থাকা স্বাভাবিক। তবে এর মাত্রা যদি ১০-১৫ মিলিগ্রাম থাকে, তাহলে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

‘সিআরপি’ ছাড়াও আরও একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় বছর খানেক আগে থেকে বুঝতে পারবেন যে, পরবর্তীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না।

শরীরের প্রায় অনেক রোগের পূর্ব লক্ষণ দেখা দেয় চোখে। হৃদরোগের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। চোখে রেটিনার চরিত্র, আচার-আচরণ দেখে অনেক আগেই হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এই অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে গুগলের আট সদস্যের একটি গবেষক দল। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা বোঝার প্রাথমিক উপায় হিসেবে চিকিৎসকরা বহু দিন ধরেই রেটিনা পরীক্ষা করে আসছেন। রেটিনার ধমনীতে একটুও বদল চোখে পড়লে তা হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস হতে পারে। এছাড়াও কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক ভাবে রেটিনা পরীক্ষার চল রয়েছে।