হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাজারে এখন যে দেশি ফলটির দেখা মিলছে সেটি হচ্ছে বরই। টক-মিষ্টি স্বাদের বরই অনেকেরই খুব পছন্দের। তবে এমন অনেকেই আছেন যারা বরই খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না। আর এখানেই হচ্ছে বিরাট ভুল। কারণ বরইতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাইতো মৌসুমি ফল বরই না খেয়ে আপনি সেসব পুষ্টি থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছেন।
চিকিৎসকরা প্রায় সবসময় বলে থাকেন- বিদেশি ফলের চেয়ে দেশি মৌসুমি ফল নিরাপদ এবং এতে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। রক্তরোগ, ক্যান্সারসহ জটিল কয়েকটি রোগ থেকে বাঁচতে মৌসুমে বেশি করে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক বরই খেলে কী কী রোগের ঝুঁকি কমে-
বরই এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিদ্যমান, যারা টিউমারের উপর সাইটোটক্সিক প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে শরীরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
শুকনো বরই এর মধ্যে স্যাপোনিন, অ্যাল্কালয়েড এবং ট্রাইটারপেনয়েড উপাদান থাকে যারা রক্ত পরিশুদ্ধ করে এবং হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
বরই অবসাদ এবং দুশ্চিন্তা দুর করে।
ইনসোমনিয়া এবং দুশ্চিন্তা অনেক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়। বরই এর শক্তিশালী কেমিক্যালগুলো অনিদ্রা এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এছাড়াও এর মধ্যে ভিটামিন সি, এ, বি২, ফাইটোকেমিক্যাল ইত্যাদি পাওয়া যায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
>> শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলগুলো লিভারের ক্ষতি করে। বরই এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি লিভারকে সুরক্ষা প্রদান করে।
বরইতে ফ্যাট নাই বললেই চলে। ২ আউন্স (প্রায় ৪টি) বরই খেলে শরীরে ৪৪ ক্যালরি শক্তি যোগান দেয়, কিন্তু ফ্যাট প্রায় শূন্য। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও এরা সাহায্য করতে পারে।
এই ফলে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি সহ আরো অনেক ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায় যা হাড় শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
আয়রন ও ফসফরাস শরীরে রক্ত উৎপাদন এবং রক্ত সঞ্চালনের প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও বিভিন্ন দেশে পেটের সমস্যা দূর করতে, মাংসপেশি শক্তিশালী করতে এই ফলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।