মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ শনিবার রাতে সজীব ওয়াজেদ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক শফিক রেহমান পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন। আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ তাঁকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। বিচারক মাজহারুল ইসলাম তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রাজধানীর নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে সজীব ওয়াজেদ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘কত হরহামেশা আপনি এমন কোন লোককে পাবেন যে আপনাকে হত্যার চেষ্টা করছে? আমার ক্ষেত্রে, আপাতদৃষ্টিতে আমার জানার বাইরেও এটা প্রায়শই হচ্ছে। আমি অপরাধী বা কোন খারাপ মানুষও নই যে এমনটা হবে। এটা শুধু এ জন্য ঘটছে যে আমার মা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আছেন এবং আমি সময়ে সময়ে তাঁকে সাহায্য করি। এটা এ জন্যও যে আমাদের বিরোধী দল যারা বিশেষত সহিংস অপরাধমূলক কাজে নিমজ্জিত এবং দেশের শীর্ষ মৌলবাদী দল যারা সরাসরি আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত, তাদের সঙ্গে জোটভুক্ত।’
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘অন্য প্রসঙ্গে আসি। যুক্তরাষ্ট্রে আমাকে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সিনিয়র সাংবাদিক ও বিএনপি নেতা শফিক রেহমানকে আজ আমাদের সরকার গ্রেপ্তার করেছে। একজন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতার ছেলে, একজন সাবেক এফবিআই এজেন্ট এবং এই দুজনের অন্য একজন আমেরিকান বন্ধু; এরা সবাই এই ষড়যন্ত্রের কারণে সাজা ভোগ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের প্রেস রিলিজ থেকে আপনি এই মামলার বিষয়ে সরাসরি পড়তে পারবেন। ‘‘খ্যাতিমান’’ অংশটির বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই কিন্তু সেখানে উল্লেখ করা ‘‘বাংলাদেশের নাগরিক’’ হচ্ছি আমি।’
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘সাংবাদিক’ শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে প্রমাণাদি সরাসরি এ মামলা থেকে এসেছে। লক্ষ্য করুন, আমি সাংবাদিক শব্দটি উদ্ধৃত করেছি কারণ, যখন আপনি অপহরণ ও হত্যার চেষ্টায় যুক্ত হবেন তখন আমার বিশ্বাস আপনি আপনার পেশার ধরন পরিবর্তন করে সাংবাদিক থেকে অপরাধী হয়ে গিয়েছেন। বিএনপি এসব কাজের জন্য একটি মধ্যবর্তী পেশার কার্যধারা পরিচালনা করে।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।