হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুরো ম্যাচে আক্রমণের পসরা বসিয়েও দুর্ভেদ্য গোলের দেখা পাচ্ছিল না পিএসজির ফরোয়ার্ডরা। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও ভাঙতে পারছিল রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণ। সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে এলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পার্ক দ্যা প্রিন্সেসে রিয়াল মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারায় পিএসজি। নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষে যোগ করা চার মিনিটের মাথায় পিএসজির জয় নিশ্চিত করেন এমবাপ্পে। আগামী ১০ মার্চ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।
পুরো নব্বই মিনিট আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে পিএসজি। প্রথমার্ধে পিএসজি যেখানে মুহুর্মুহু আক্রমণে মেতে উঠে সেখানে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষের পোস্টে শট ছিল মোটে একটি। দ্বিতীয়ার্ধেও রক্ষণ সামলানোতেই ব্যস্ত ছিল ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীরা। পুরো ম্যাচে একটি শটও অনটার্গেটে রাখতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল। মেসি-এমবাপ্পের সঙ্গে নেইমারের সংযুক্তি আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে। সবাই যখন ধরেই নিয়েছে ম্যাচ ড্র হতে যাচ্ছে কিন্তু তখনি রিয়াল মাদ্রিদকে স্তব্ধ করে পিএসজির জয় এনে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
পঞ্চম মিনিটেই সুযোগ নষ্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা দি মারিয়া। কিলিয়ান এমবাপ্পের নিচু ক্রসবক্সের ভেতর থেকে ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন মারিয়া। ১৯ মিনিটে দানিলোর হেড ঠেকিয়ে মাদ্রিদকে রক্ষা করেন থিবো কোর্তুয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বক্সের সামনে থেকে লিওনেল মেসির জোরাল শট ব্লক করেন কাসেমিরো। গোল শূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি যেন আরো ধারাল। ৫০ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে এমবাপ্পের নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন কোর্তুয়া। ৫৪ মিনিটে প্রথমবারের মতো ভালো আক্রমণে উঠে রিয়াল মাদ্রিদ। বক্সের বাইরে থেকে টনি ক্রুসের দূরপাল্লার শট ক্রসবারের খানিকটা ওপর দিয়ে চলে যায়।
৬২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন লিওনেল মেসি। দানি কার্ভাহাল বক্সের ভেতর ফেলে দেন এমবাপ্পেকে। পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ মেসি। তার নেওয়া নিচু শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন কোর্তুয়া। এ নিয়ে ২০১৮ সালের পর থেকে মাদ্রিদের বিপক্ষে গোলখড়ায় ভুগছে মেসি।
৭৩ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ইনজুরি থেকে ফেরা নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকা মাঠে নামার পর পিএসজির আক্রমণের গতি আরো বেড়ে যায়। তবুও রিয়ালের রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না স্বাগতিকরা। অবশেষে পিএসজির ত্রাতা হয়ে আসেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষে যোগ করা চার মিনিটের মাথায় নেইমারের বাড়ানো বল দূরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করেন মৌসুমে ২২ গোল করা এমবাপ্পে।