হাওর বার্তা ডেস্কঃ কঠোর প্ররিশ্রমে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি আবাদ করে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়েছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামের চাষিরা। বর্তমানে গ্রামটি ‘বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির গ্রাম’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। চাষিরা নতুন করে নির্মাণ করেছেন ঘর-বাড়ি। নিরাপদ সবজি চাষই তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে।
মুশুদ্দি গ্রামের চাষিদের বছরজুড়ে আবাদি জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ সবার নজর কেড়েছে। ভালো মানের সবজি আবাদ হওয়ায় উপজেলার পাশাপাশি জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে এই বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি।
ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি বিভাগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। শুধু মুশুদ্দি ইউনিয়নে চাষ হয়েছে ১০৩ হেক্টর জমিতে। সবজি চাষে জমিতে পুরুষদের পাশাাপশি পরবিারের নারী সদস্যরাও সমভাবে কাজ করছেন। প্রনোদনা, পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রদর্শনীতে কৃষকদের আগ্রহে বেড়েই চলছে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি আবাদে।
কামাড়পাড়া গ্রামের চাষি মো. আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক বিভিন্ন জাতের সবিজ আবাদ করছেন। চলতি মৌসুমে ৭৫ শতাংশ জমিতে শিম, লাউ, বেগুন, করলা ও পটল আবাদ করেছেন। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বছর আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয় হয়। একই কথা জানালেন অপর সবজি চাষি হারুন। তিনি বলেন, সবজি চাষে এলাকার সবারই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে।
চাষিদের কথা, এক সময় তারা শুধু ধান চাষ করতেন। কিন্তু একবার সবজি চাষ করে বুঝতে পেরেছেন ধানের চেয়ে সবজিতে পাঁচ গুণ লাভ। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তরা মাঠে এসে সকল পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে করে চাষিরা অনেক খুশি।
ধনবাড়ী উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘মুশুদ্দি ইউনিয়ন মূলত সবজি প্রধান এলাকা। কৃষকরা বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করেন। আমরা মাঠে গিয়ে সব সময় তাদের পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রেখেছি। বর্তমানে এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সবজি আবাদ হচ্ছে।
ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জানান, সবজি চাষের জন্য মুশুদ্দি ইউনিয়নের মাটি খুবই উর্বর এবং উপযোগী। তাই কৃষকরা সবজি আবাদে খুবই আগ্রহী। ‘বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির গ্রাম’ মুশুদ্দি ইউনিয়নের চাষিরা এখন লাভবান হচ্ছেন।