গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে জনপ্রিয় তরমুজের আদি উৎপত্তিস্থল আফ্রিকার মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশসমূহ। মূলত সেসব দেশ থেকেই পরে উপক্রান্তীয় ও ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশসমূহে এটি ছড়িয়ে পড়ে।
তরমুজ একটি পানিসমৃদ্ধ ফল যার ৯২ শতাংশ পানি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ৬, লাইকোপেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো অ্যাসিড।
হার্টের স্বাস্থ্য, হাড়ের স্বাস্থ্য ও প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে লাইকোপেন। সর্বোপরি শরীর সুস্থ্য রাখতে তরমুজের জুড়িমেলাভার। নিচে তরমুজে কী কী গুণ রয়েছে সেসব নিয়ে আলোচনা করা হলো :
হার্টের স্বাস্থ্যে: তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন। এটি কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে দারুণ ফলপ্রসূ। এই উপাদানটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখে: তরমুজ একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। এটি প্রসাবের প্রবাহ বাড়ায়। ফলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
লিভারের কার্যক্রম ঠিক থাকে: তরমুজ খেলে লিভারের স্বাভাবিক কাজ সচল থাকে। এটি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে: ডায়াবেটিসের একটি ভালো সম্পূরক হতে পারে তরমুজ। স্বাদে মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও এতে রয়েছে সামান্য পরিমাণ ক্যালোরি। আপনার জেনে রাখা ভালো, তরমুজের ৯৯ শতাংশই পানি ও রাফেজ। এতে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ যেমন পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্রম ঠিক রাখে। এভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর চমৎকার উৎস হচ্ছে তরমুজ। এসব উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এছাড়া তরমুজের লাইকোপেন উপাদান প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সরাসরি কাজ করে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যে: এই ফলটি ত্বকের যত্নে দারুণ কার্যকর। কারণ, এতে রয়েছে ভিটামিন এ। এই উপাদানটি ত্বক ও চুল আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এটি নতুন কোলাজেন এবং স্থিতিস্থাপক কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
তরমুজের বীজ: তরমুজের বীজেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ, জিঙ্ক, প্রোটিন ও ফাইবার। যা শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য খুবই উপকারি।